আগরতলা : প্রাকৃতিক দুর্যোগে গত প্রায় এক মাসে কমকরে ৭৫০০০ কৃষকের আনুমানিক এক লাখ হেক্টর কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।রাজ্যের কৃষি ও কৃষকদের ওপর নেমে আসা এই বিপর্যয় মোকাবিলাতে রাজ্য সরকারের কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দফতরের কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি করলো সারা ভারত কৃষক সভার ত্রিপুরা রাজ্য কমিটি।সোমবার সচিবালয়ে রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী রতন নাথের সাথে এক ডেপুটেশনে মিলিত হয়ে এই দাবি জানিয়েছেন রাজ্য কৃষকসভার এক প্রতিনিধি দল।পরে কৃষক ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে সারাভারত কৃষকসভার ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির সম্পাদক পবিত্র কর বলেন প্রচুর ধার দেনা করে গরীব চাষীরা যে ফসল করেছিলেন তা ঘরে তোলার সময় হয়েছিল তখনই এই বিপর্যয় নেমে আসে,এতে সম্পূর্ণ ধান সবজি ও আলু নষ্ট হয়ে যায়।এই অবস্থায় বিপন্ন কৃষকদের পক্ষে নতুন করে যে আবার চাষ করবেন এই আর্থিক সামর্থ্য তাঁদের নেই। মন্ত্রী সমস্ত বিষয়ে সহমত পোষণ করে বলেছেন নভেম্বরের বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তা করতে বুধবার মুখ্যসচিব সহ অন্যান্য সচিব ও অধিকর্তাদের সাথে বসে এই আর্থিক সহায়তার জন্য চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। সাম্প্রতিক বর্ষনে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে দুজন দায়িত্বে থাকা অধিকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে মন্ত্রী জানানোয় পবিত্র কর এর জন্য ধন্যবাদ জানান।প্রসঙ্গত পবিত্র কর বলেন,দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি যে ৮০ শতাংশ পাকা ধান নষ্ট হয়ে গিয়েছে।অত্যন্ত ভালো ও সহৃদয়তার মন্ত্রী আলোচনায় মতামত দিয়েছেন সেজন্য কৃষকসভার পক্ষ থেকে পবিত্র কর তাঁকে ধন্যবাদ জানান।তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে দলমত নির্বিশেষে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের নাম তালিকাভূকত করা।যেটা মন্ত্রী মেনে নিয়েছেন বলে পবিত্র কর জানান।ক্ষতিগ্রস্ত জুমিয়াদের ফসলের ক্ষতি পূরণ ও জুম চাষের জন্য বিভিন্ন ফসলের বীজ প্রদান বিশেষ করে তিল বেগুন ও লঙ্কা বীজ প্রদান করার দাবি গণমুক্তি পরিষদের নেতা অমলেন্দু দেববর্মা করেছেন।