২৮ দলের জোটকে ভয় পেয়েছে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি- মানিক

আগরতলা : ২৮ দলের জোটকে ভয় পেয়েছে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি দল।ফলে এই ইন্ডিয়া মোর্চার বিভিন্ন দলের মধ্যে মতানৈক্য তৈরির অপপ্রচার চালাচ্ছে, সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।বুধবার আগরতলার টাউন হলে ৭৯ তম জনশিক্ষা দিবস ও গণমুক্তি পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে কেন্দ্রীয় হল সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার এই আহ্বান জানিয়েছেন।সভার উদ্যোক্তা ছিল গণমুক্তি পরিষদ, টি ওয়াই এফ ও টি এস ইউ ।সেখানে মানিক সরকার বলেন এই অপপ্রচার করে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা হচ্ছে সেখানে কেউ কেউ গা ভাসিয়ে দিলে বিজেপির সুবিধা হবে ।তাই এর যোগ্য জবাব দিতে হবে।তা না হলে সেটা বিজেপি দল এর সুযোগ নেবে।’তিনি বলেন কমিউনিস্ট আন্দোলনে গণমুক্তি পরিষদের ভূমিকা ব্যাপক ,এটা নিছক কল্পনা প্রসূত নয় এটা ইতিহাস।তিনি গত ২৬ ডিসেম্বর জনজাতি সুরক্ষা মঞ্চের দাবি ও মিছিল নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন ধর্মের কথা বলে উপজাতিদের মধ্যে লড়াই বাঁধানোর চেষ্টা হচ্ছে।বলেন সংবিধান অনুযায়ী ধর্মের নামে সংরক্ষণ করা যায় না। মানিক সরকার বলেন জনশিক্ষা আন্দোলন শিক্ষার মাধ্যমে উন্নয়নের দাবি শুধু উপজাতিদের জন্য ছিল না ছিল সকলের।

তিনি বলেন সকলের জন্য শিক্ষা সহ সামাজিক লড়াই ছিল প্রধান, তাকে সামনে রেখেই গঠিত হয়েছিল গণমুক্তি পরিষদ।এই মুহূর্তে দেশের ও রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন অর্থনৈতিক দিক থেকে উপজাতিরা ভয়াবহ অবস্থায় রয়েছে,কর্মরতরা কর্মহীন হয়ে পড়েছে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির উদ্বেগজনক সব কিছুতেই সরকারের ব্যর্থতা স্পষ্ট। সেজন্য মানুষের কাছে যেতে হবে বোঝাতে হবে বলতে হবে, স্বাধীন ত্রিপুরার শ্লোগান থেকে গ্রেটার তিপ্রা ল্যান্ড কোনোটাই উপজাতিদের উন্নয়নের জন্য নয় শুধুমাত্র কমিউনিস্টদের রুখতে।কারণ তাদের সহায়ক বিজেপির তিন প্রতিপক্ষ কমিউনিস্ট,মুসলিম ও খ্রিষ্টান।সিপিআইএম রাজ্য কমিটির সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেন রাজ্যে জনশিক্ষা আন্দোলন রাজ্যের উন্নয়নের সোপান হিসেবে কাজ করেছে।তারপরে গণমুক্তি পরিষদ গঠিত হবার পর দশ হাজার মানুষের যে মিছিল হয়েছিল ১৯৪৮ সালের অক্টোবর মাসে সেটাই লড়াই এর ময়দান তৈরি করে।সেই থেকে ৭৫ বছর ধরে গণমুক্তি পরিষদ উপজাতিদের সাথে সুখে দুঃখে রয়েছে।ঐ প্রথম মিছিলে স্বাধীন ত্রিপুরার শ্লোগান ছিল না, ছিল রাজ বন্দীদের মুক্তি,উদ্বাস্তুদের জন্য পুনর্বাসন সহ তিন দফা দাবি।এরপর টি ইউ জে এস, আই পি এফ টি , আই এন পি টি হয়ে মথা।শুধু গণমুক্তি পরিষদকে রুখতে তৈরি হয়েছিল এরা ।বারবার নাম পরিবর্তন করে উপজাতিদের ধোঁকাদেয়ার চেষ্টা বিফলে যাবেই বলে তিনি মন্তব্য করেন।তিনি বলেন সর্ব শেষ বিধানসভা নির্বাচনের ভোট ভাগাভাগির সুবিধা করে বিজেপিকে ক্ষমতাসীন করে দিয়েছে যে দল তাদের শেষ সময় আসন্ন বলে জিতেন্দ্র চৌধুরী মন্তব্য করেন।

Related posts

প্রথমবারের মতো ত্রিপুরায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ক্রীড়া সাংবাদিকদের সেমিনার

উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে রাজধানীর জগন্নাথ জিউ মন্দির থেকে বের হয় রথ

Govt tirelessly working to fill up vacant posts: CM