আগরতলা : প্রয়াত বিশিষ্ট লেখক মানস দেববর্মন। সোমবার কৃষ্ণনগর হরিশ ঠাকুর রোড স্থিত নিজ বাসভবনে প্রয়াত হন তিনি। উনার প্রয়াণে শোক প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর।শোকের ছায়া পরিবার সহ সাহিত্যিক মহলে।না ফেরার দেশে সাহিত্যিক মানস দেববর্মন। সোমবার নিজ বাসভবনে প্রয়াত হন বিশিষ্ট লেখক মানস দেববর্মন।মৃত্যুকালে উনার বয়স ছিল ৮৪বছর। উনার মৃত্যুর সংবাদ শুনে বাড়িতে ছুটে যান প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার সহ বিশিষ্টব্যক্তিরা। তারা প্রয়াতকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। এদিকে প্রয়াত বিশিষ্ট সাহিত্যিক–লেখক মানস দেববর্মণকে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। সোমবার বিকেলে রাজধানীর বটতলা মহাশ্মশানে গিয়ে প্রয়াতকে শেষ শ্রদ্ধা জানান মুখ্যমন্ত্রী। প্রতিক্রিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বহুদিন আগে থেকেই প্রয়াত মানস দেববর্মণকে চিনতেন। পারিবারিক সম্পর্কও ছিল। প্রয়াত মানস দেববর্মণ টি পি এস সির চেয়ারম্যানও ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, একটা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব বলতে যা বোঝায় তাই ছিলেন প্রয়াত মানস দেববর্মণ। উনার মৃত্যুতে ত্রিপুরাবাসী একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে হারাল। সেটা পূর্ণ হওয়ার নয়। মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াতের পরিবার পরিজনদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা বলেন মানস দেববর্মণকে ভোলা যাবে না। প্রতিক্রিয়ায় বরিষ্ঠ সাংবাদিক প্রনব সরকার বলেন মানস দেববর্মন এর মৃত্যু ত্রিপুরা রাজ্যের বিশাল ক্ষতি।এই ক্ষতি কোনভাবেই পূরন করা যাবে না। তিনি ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। আমাদের এ রাজ্যের গর্ব।আইনজীবী সন্দীপ দত্ত চৌধুরী বলেন মানস দেববর্মনের মৃত্যুতে রাজ্যের সাহিত্য সাংস্কৃতিক জগতে অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেছে। তিনি ছিলেন রাজ্যের কৃতি সন্তান। এদিকে এদিন প্রয়াত মানস দেববর্মনকে শ্রদ্ধা জানাতে প্রথমে রবীন্দ্র ভবন প্রাঙ্গণে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে শ্রদ্ধা জানান সাংবাদিক, শিল্পী, সাহিত্যিক, লেখক সহ বিভিন্ন পেশার মানুষ।এর পর উমাকান্ত স্কুলে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে বটতলা মহাশ্মশানে শেষ ক্রিতের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।