আগরতলা : বর্তমান সরকার বিভিন্ন দপ্তরে লোক নিয়োগ করছে। কিন্তু সরকারি চাকরি দিয়ে দেশের এবং রাজ্যের বেকার সমস্যার সমাধান হবে না। অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সুদৃঢ় করতে গেলে মানুষকে স্বাবলম্বী করতে হবে। সেই দিশায় ২০১৮ সাল থেকে বর্তমান সরকার কাজ করছে। যার ফলে বর্তমানে ছেলে মেয়েদের মানসিকতার পরিবর্তন হচ্ছে। এতে সমাজের পরিবর্তন হয়েছে। শনিবার প্রদেশ বিজেপি কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা বললেন বিজেপির মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান সমীর ঘোষ ও প্রদেশ বিজেপির মিডিয়া ইনচার্জ সুনিত সরকার।মুখপাত্র এদিন অভিযোগ করেন, বর্তমান বিরোধী দল সিপিআইএম মানুষের কাছে মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করে রাজনৈতিক ময়দানে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছে। কিন্তু তাদের জমানায় যে খুন সন্ত্রাস হয়েছিল সেগুলি সামনে তুলে আনার উদ্যোগ নিয়েছে বর্তমান সরকার। তিনি বলেন, ২০১৮ সালে সরকার পরিবর্তনের পর সিপিআইএম বিরোধী দলের মর্যাদা পর্যন্ত পায়নি। পরবর্তী সময়ে তারা বিরোধী দলের মর্যাদা পেয়েছে, কিন্তু তারপরও তারা নিজেদের শুধরাচ্ছে না। মুখপাত্র বলেন, দীর্ঘ সময় রাজ্যে বামফ্রন্ট সরকার থাকার পরেও লক্ষ্য করা গেছে ২০১৮ সাল থেকে ২০২৩ সালে বিজেপি পরিচালিত সরকারের পরিচালনায় তারা তৃতীয় স্থানে গিয়ে পৌঁছেছিল। বর্তমানে তারা বিরোধী দলের ভূমিকাও পালন করছে না। বামফ্রন্টের মতাদর্শ হলো বন্ধুকের নল। তারা এখন বলছে রাজ্যে আইনের শাসন নেই। তিনি তথ্য তুলে ধরে বলেন, তৃতীয়বার বামফ্রন্ট সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ১৯ মাস ২০ দিনে ৫০১ জন রাজ্যে খুন হয়েছিল। তিনি অভিযোগ করেন, বর্তমানে আইন-শৃঙ্খলা অবনতি, কাজ, খাদ্য এবং কর্মসংস্থান নিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার করে রাজনৈতিক ময়দানে টিকে থাকার চেষ্টা করছে প্রধান বিরোধী দল সিপিআইএম।