আগরতলা : সফল ইসোফেজিয়েল বাইপাস সার্জারি জিবিতে।সম্ভবত প্রথম হয়েছে ত্রিপুরায় এই সার্জারি।সফলভাবে রোগীর খাদ্যনালীতে বৃহদন্ত্র প্রতিস্থাপন করলেন জিবিপি হাসপাতালের চিকিৎসকরা। বর্তমানে সুস্থ আছে রোগী। সফল ইসোফেজিয়েল বাইপাস সার্জারি সম্ভবত প্রথম হয়েছে ত্রিপুরায়। সিপাহীজলার কৈয়াঢেপা মধুপুরের বাসিন্দা যুবক প্রসেনজিৎ দাস। ২০২৪ সালের পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝামেলার জেরে রাবার প্রসেসিং অ্যাসিডখেয়ে নেয়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে মধুপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দেখা যায় খাদ্যনালী জ্বলে যাওয়াতে খাদ্যনালী শুকিয়ে বন্ধ হয়ে গেছে। দেড় বছর ধরে সে ঠিক ভাবে ভাত ও জল খেতে পারছিল না । ৩ জুন ২০২৫ বাড়ির লোক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জিবিপি হাসপাতালে নিয়ে আসে।গ্যাস্ট্রোএন্টরোলজিস্ট ডাঃ মৃণাল দেববর্মা ও ডাঃ শুভদীপ পাল তার এন্ডোস্কোপি করে খাদ্যনালীর স্ট্রিকচার সনাক্ত করেন।পরে বারবার খাদ্যনালীর ডাইলেটেশন করানো হয়। প্রত্যেক তিন সপ্তাহে একবার এই প্রক্রিয়া করতে হতো।কিন্তু কিছুদিন পর এই ডাইলেটেসন কাজ করা বন্ধ করে দেয়। পেটের অন্ত্রে ফুটো করে লিকুইড খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয়। তারপর তাকে গ্যাস্ট্রো সার্জারি ডিপার্টমেন্টে ডাঃ দীপংকর শংকর মিত্রের কাছে চিকিৎসার জন্য রেফার করা হয়। তিনি এই জটিল রোগীর ব্যাপারে হাসপাতালের কার্ডিওথোরসিক সার্জন, ডাঃ কনক নারায়ণ ভট্টাচার্যের সাথে আলোচনা করেন। সিদ্ধান্ত হয় রোগীর শুকিয়ে বন্ধ হয়ে যাওয়া খাদ্যনালীর বিকল্প পথ তৈরী করা হবে। সে অনুযায়ী রোগীর ইসোফেজিয়েল বাইপাস সার্জারি করার সিদ্ধান্ত হয়। এতে বৃহদন্ত্রের একটি অংশ কেটে নিয়ে খাদ্যনালীর জায়গায় বুকের ভেতর প্রতিস্থাপিত করা হয়ে থাকে। এই অপারেশন জিবি হাসপাতাল তথা ত্রিপুরা রাজ্যে প্রথমবার করা হয়। সেই অনুসারে, ডাঃ মিত্র এবং ডাঃ ভট্টাচার্যের একটি জয়েন্ট টিম পূর্ব পরিকল্পিতভাবে জিবি হাসপাতালের সিটিভিএস বিভাগের অপারেশন থিয়েটারে ৫ জুন ২০২৫ তারিখে সফলভাবে রোগীর খাদ্যনালীতে বৃহদন্ত্র প্রতিস্থাপন করেন। দীর্ঘ সাতঘন্টা ব্যাপী এই অপারেশনে ডাঃ দীপঙ্কর শংকর মিত্র, ডাঃ কনক নারায়ণ ভট্টাচার্যের সঙ্গে ছিলেন আরও কয়েকজন চিকিৎসক সহ সংশ্লিষ্টরা। বর্তমানে সুস্থ আছেন রোগী। বৃহস্পতিবার এ জি এম সির কাউন্সিল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে বিস্তারিত জানান চিকিৎসকরা।
সফলভাবে রোগীর খাদ্যনালীতে বৃহদন্ত্র প্রতিস্থাপন করলেন জিবিপি হাসপাতালের চিকিৎসকরা
2