আগরতলা : বহু প্রতীক্ষার অবসান। অবশেষে উদ্বোধন হল আগরতলা- আখাউড়া রেলপথের। বুধবার ভারত-বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে ভার্চুয়াল এই প্রকল্পের সূচনা করেন। ভারতের আগরতলা ও বাংলাদেশের আখাউড়ার মধ্যে রেলপথের সংযোগের জন্য কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে।অবশেষে উদ্বোধন হল নিশ্চিন্তপুর ও গঙ্গাসাগরের রেল স্টেশনের মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপনের। বুধবার দিল্লি থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বাংলাদেশ থেকে সেদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়াল এর সূচনা করেন। আগরতলার মহাকরণ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের যুক্ত হন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাক্তার মানিক সাহা। এদিন একসঙ্গে বোতাম টিপে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যৌথভাবে নির্মিত তিনটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অন্য দুটি প্রকল্প হল কুলনা-মংলা বন্দর রেল যোগাযোগ। এটি ভারত সরকারের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় করা হয়েছে। আর তৃতীয় প্রকল্পটি হল মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের দ্বিতীয় ইউনিট। ভার্চুয়ালি তিনটি প্রকল্পের উদ্বোধনের পর মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা বলেন, রাজ্যের জন্য এদিনটি ঐতিহাসিক।রাজ্যের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে গঙ্গাসাগর- নিশ্চিন্তপুর স্টেশনের মাধ্যমে রেল যোগাযোগ স্থাপন।তিনি বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ত্রিপুরা প্রবেশদ্বার হতে যাচ্ছে পরিবহণ ও পর্যটনের ক্ষেত্রে এই রেল যোগাযোগের মাধ্যমে। প্রদাহ্ন মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দূরদর্শী নেতৃত্বের ফলেই ত্রিপুরা সহ উত্তর- পূর্বাঞ্চল অভূতপূর্ব উন্নতি সাধিত হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে। যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে প্রধান মন্ত্রী ঘোষিত হীরা মডেলের প্রকৃত বাস্তবায়নের মাধ্যমে। তিনি আরও বলেন, নরেন্দ্র মোদী কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসার পরে অ্যাক্ট- ইস্ট পলিসির মাধ্যমে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি কল্পে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন।
অবশেষে উদ্বোধন হল আগরতলা- আখাউড়া রেলপথের
175