Home First post সমবায় ক্ষেত্রে উন্নয়নের মাধ্যমে দেশকে শক্তিশালী করা সম্ভব হবে: মুখ্যমন্ত্রী

সমবায় ক্ষেত্রে উন্নয়নের মাধ্যমে দেশকে শক্তিশালী করা সম্ভব হবে: মুখ্যমন্ত্রী

জনসচেতনতার মাধ্যমে সমবায় আন্দোলনকে আরো শক্তিশালী করতে গুরুত্ব মুখ্যমন্ত্রীর

by sokalsandhya
0 comments

আগরতলা : সমবায় ক্ষেত্রে উন্নয়নের মাধ্যমে দেশকে শক্তিশালী করা সম্ভব হবে। এতে রাজ্যের পাশাপাশি দেশও অধিক শক্তিশালী হবে। সমবায়কে কেন্দ্র করে রাজ্যকে দারিদ্র্যমুক্ত করা সম্ভব হবে। শুধু তাই নয়, দুর্নীতিমুক্ত করা সম্ভব হবে।

মঙ্গলবার আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে আয়োজিত “সমবায়ের প্রচার ও উন্নয়ন” সম্পর্কিত একদিনের রাজ্যভিত্তিক সম্মেলনের উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। জাতীয় সমবায় ইউনিয়ন এবং রাজ্য সমবায় দপ্তর ও ইউনিয়নের যৌথ উদ্যোগে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, এই ধরনের কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে জনসচেতনতা। মানুষের মধ্যে সমবায় সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এর অন্যতম লক্ষ্য। সচেতনতা না থাকায় আমরা অনেক কিছু জানি না। আমাদের যশস্বী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশকে শক্তিশালী করে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছেন। বিশেষ করে দেশকে আর্থিকভাবে উন্নত করার জন্য চেষ্টা করছেন তিনি। কিছুদিন আগে রাজ্যে অনুষ্ঠিত নর্থ ইস্ট কাউন্সিলের ৭২তম প্ল্যনারী সেশনে সমবায়ের সঙ্গে যুক্ত বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ অংশ নিয়েছিলেন। সমবায় আন্দোলন হচ্ছে একটা রক্তপাতহীন আন্দোলন। এই আন্দোলনের মাধ্যমে সমাজ কিভাবে শক্তিশালী হবে সেটা অনুমান করা যায় না। বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় যে সমবায় সমিতিগুলি রয়েছে সেগুলিকে শক্তিশালী করা গেলে দেশ আর্থিকভাবে এগিয়ে যাবে। এখন অর্থনীতির দিক দিয়ে সারা বিশ্বে পঞ্চম স্থানে রয়েছে ভারত। যেটা আগে ছিল ১১তম স্থানে। আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শাসনকালে এটা সম্ভব হয়েছে। এখন অর্থনীতির দিক থেকে তৃতীয় স্থানের কথা চিন্তা করছি আমরা। এই সমবায় সেক্টর উন্নত হলেই আগামীদিনে আমরা তৃতীয় স্থানে আসতে পারবো। সেই লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। তবে শুধু মুখে বললে হবে না, কাজেও সেটা করে দেখাতে হবে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য স্তরের সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সমবায়ের মাধ্যমে যে সফলতা এসেছে এবিষয়ে আলোচনা করা। সফলতার পাশাপাশি অসফল দিকগুলি নিয়েও এই সম্মেলনে আলোচনা করা দরকার। যাতে সাফল্য না পাওয়ার কারণগুলি যথাযথভাবে উঠে আসে। আগামীদিনে আমাদের দিশা কি হবে, নির্দেশিকা কি হবে – সেসব বিষয়েও আলোচনা হবে এই সম্মেলনে। আর আগে এই সমবায় দপ্তর প্রাণহীন ছিল। কিন্তু এখন সেটা নেই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ২০২১ সালে সমবায় মন্ত্রক হওয়ার পর এবং এই মন্ত্রকের মন্ত্রী হিসেবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দায়িত্ব গ্রহণের পর সমবায় ক্ষেত্রে গতি এসেছে। ত্রিপুরা সরকারের সমবায় দপ্তর প্রতি বছরই সমবায় সপ্তাহ উদযাপন করে। সেখানে আলোচনা সভা, প্রতিযোগিতা সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি করা হয়। এধরণের কর্মসূচির মাধ্যমে জনসচেতনতাও বৃদ্ধি পায়। ত্রিপুরা রাজ্যের প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষের মধ্যে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৯ লক্ষ মানুষ সমবায় সমিতির সঙ্গে যুক্ত। বাকি মানুষের কাছেও সমবায়ের চিন্তাভাবনা নিয়ে যেতে হবে।

অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, সমবায় মন্ত্রক ‘সমবায়ের মাধ্যমে সমৃদ্ধি’ শ্লোগানের মাধ্যমে এই আন্দোলনকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিয়েছে। সারা দেশে সমবায় সমিতিগুলির আর্থ সামাজিক মানোন্নয়নের জন্য প্রায় ৫৪টি বিভিন্ন ধরণের পজিটিভ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এরমধ্যে প্যাক্সগুলিতে কম্পিউটারাইজড করে শক্তিশালী করার প্রক্রিয়াও রয়েছে। ত্রিপুরায় এই প্রক্রিয়া ১০০% করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েত ও গ্রামে এধরণের বহুমুখী প্যাক্স যেমন দুগ্ধ, মৎস্য সমবায় সমিতি গড়ে তোলা, প্যাক্সের মাধ্যমে ই – পরিষেবা প্রদান করা সহ ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসব পরিষেবার মাধ্যমে স্বচ্ছতা যেমন থাকবে তেমনি দুর্নীতি প্রতিরোধ করাও সহায়ক হবে। এখন এলপিজি ডিস্ট্রিবিউশন, পেট্রোল ডিজেল ডিলারশিপের জন্য ল্যাম্পস ও প্যাক্সকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ত্রিপুরাতেও এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ল্যাম্পস ও প্যাক্সকে আর্থিকভাবে উন্নত করা গেলে তারা অনেক বেশি স্বাবলম্বী হবে। তারা স্বাবলম্বী হলে অন্যদেরকেও স্বাবলম্বী করতে পারবে। সেই দিশায় কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকার চিন্তাভাবনা করছে। প্রধানমন্ত্রী কিষান সমৃদ্ধি কেন্দ্রকে উন্নত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ল্যাম্পস ও প্যাকসে যারা কাজ করছেন তাদের যাতে আয়কর ছাড় দেওয়া হয় সেনিয়ে আলোচনা হয়েছে। নতুন জাতীয় সমবায় নীতিও তৈরি করা হবে।

অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমবায় মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া, ন্যাশনাল কোঅপারেটিভ ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ সাঙ্গানি, ন্যাশনাল কোঅপারেটিভ ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়ার চিফ এক্সিকিউটিভ ড. সুধীর মহাজন, সমবায় দপ্তরের সচিব তাপস রায় সহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধি ও দপ্তরের পদস্থ আধিকারিকগণ।

You may also like

Leave a Comment

Are you sure want to unlock this post?
Unlock left : 0
Are you sure want to cancel subscription?
-
00:00
00:00
Update Required Flash plugin
-
00:00
00:00

SOKAL SANDHYA is the Best Newspaper and Magazine 

Edtior's Picks

Latest Articles