এশিয়া কাপ ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা

চলতি এশিয়া কাপের ভার্চুয়াল সেমিফাইনাল ম্যাচ খেলতে নেমেছিল পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা। এই ম্যাচের আগে দুটো দলের ঝুলিতেই ২ পয়েন্ট করে ছিল। কিন্তু, শেষবেলায় বাজিমাত করল দাসুন শনকার দল। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর পাকিস্তানকে তারা ২ উইকেটে হারিয়ে দিল। আর সেইসঙ্গে কনফার্ম করে ফেলল ফাইনালের টিকিটও। আগামী রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ভারতের বিরুদ্ধে টুর্নামেন্টের অন্তিম ম্যাচ খেলতে নামবে শ্রীলঙ্কা।

 

এই ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পাকিস্তান। টসের আগেই বৃষ্টির জন্য বেশ খানিকক্ষণ সময় নষ্ট হয়। সেকারণে এই ম্যাচটা প্রথমে ৪৫ ওভার করে আয়োজন করা হবে বলে ঠিক হয়েছিল। কিন্তু, ২৭.২ ওভারে পাকিস্তান ১৩০ রানে ৫ উইকেট হারাতেই ফের নামে বৃষ্টি। এরপর ম্যাচটা ৪২ ওভারে কমিয়ে আনা হয়। তবে এই ম্যাচে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের ব্যাটাররা যে চূড়ান্ত হতাশ করেছে, সেটা আর আলাদা করে বলে দিতে হবে না। এমনিতেই খেলতে পারেননি ইমাম উল হক (চোট) এবং সাউদ শাকিল (জ্বর)। ইমামের বদলে ফখর জমানকে (৪) ফের দলে সুযোগ দেওয়া হলেও, কাজের কাজ তিনি করতে পারেননি। এমনকী, ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারেননি বাবর আজম (২৯), মহম্মদ হ্যারিস (৩) এবং মহম্মদ নওয়াজও (১২)। নির্ধারিত ৪২ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান ২৫২ রান তুলেছিল। পাকিস্তানের হয়ে উইকেটকিপার ব্যাটার মহম্মদ রিজওয়ান ৭৩ বলে ৮৬ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেললেন। অন্যদিকে ওপেনার আবদুল্লা শফিক ৫২ এবং ইফতিকার আহমেদ ৪৭ রান করেছেন। ষষ্ঠ উইকেটে ইফতিকার এবং রিজওয়ান ৭৮ বলে ১০৮ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। শ্রীলঙ্কার হয়ে পাথিরানা তিনটে উইকেট নেন। এছাড়া প্রমোদ মধুশন, মাহিশ থিক্ষণা এবং দুনিথ ওয়েলালাগে একটি করে উইকেট শিকার করেছেন।

এরপর শ্রীলঙ্কা ব্যাট করতে নামে। শুরুটা তারা বেশ ভালোই করেছিল। ৯ ওভারে ১ উইকেট হারালেও তারা ৫৭ রান করে ফেলে। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে পাথুম নিশঙ্কার সঙ্গে ৫৭ রানের এবং তৃতীয় উইকেটে সাদিরা সমরবিক্রমার সঙ্গে ১০০ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন কুশল মেন্ডিস। এই দুটো পার্টনারশিপই শ্রীলঙ্কার পক্ষে ম্যাচটা টেনে নিয়ে আসে। শ্রীলঙ্কার উইকেটকিপার ব্যাটার কুশল মেন্ডিস ৮৭ বলে ৯১ রানের একটা দুর্দান্ত ইনিংস দলকে উপহার দেন। তিনি আটটি বাউন্ডারি এবং একটি ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন। তবে একেবারে শেষবেলায় জ্বলে উঠলেন শাহিন আফ্রিদি। একই ওভারে জোড়া উইকেট (ধনঞ্জয় ডি সিলভা এবং দুনিথ ওয়েলালাগে) শিকার করে গোটা ম্যাচের রং একেবারে বদলে দিয়েছিলেন। শেষ ওভারেও চলে একেবারে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চরিথ আশালঙ্কা ৪৯ রানে অপরাজিত থেকে এই ম্যাচটা জিতিয়ে দেন।

Related posts

মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে প্রবীণদের মধ্যে শীত বস্ত্র বিলি

বীরবাল দিবস পালন করলো ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপি

নিজের হাতে থাকা ৩ দপ্তরের জেলা ভিত্তিক পর্যালোচনা সভা মন্ত্রী সুধাংশু দাসের