সাডেন ডেথে কুয়েত বধ, নবমবারের জন্য সাফ চ্যাম্পিয়ন ভারত

বেঙ্গালোর : স্বপ্নপূরণ, ভারতের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াইটাকে এভাবেই ব্যাখ্যা করতে হবে। এবার হ্যাটট্রিক করতে নেমেছিল তারা। আর সেটাই হল। শেষ পর্যন্ত লড়াই করার মানসিকতা থেকে নবমবার সাফ ঘরে তুলল সুনীলরা। আর সেমিফাইনালের মত ফআইনালেও নায়ক গুরপ্রীত সিং সান্ধু। টাইব্রেকারে আটকে দিলেন কুয়েতকে। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আটকে দলকে জিতিয়ে দিলেন। নির্ধারিত সময়ে ১-১ থাকার পর পেনাল্টিতে ভারত জিতল ৫-৪ গোলে।
ফাউলের দিক থেকে যদি কোনও ফাইনাল ম্যাচকে সবার আগে রাখা হয় সেই তালিকায় উপরের দিকে জায়গা করে নেবে ২০২৩ সালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। ভারত ও কুয়েত দুই দলই প্রচুর ফাউল করল।
প্রথমার্ধ ১-১ গোলে শেষ হওয়ার পর দুই দলের থেকে আরও বেশি আক্রমণাত্মক ফুটবল আশা করেছিলেন সমর্থকরা। কিন্তু ফুটবল খেলার দিক থেকে আক্রমণের ঝাঁঝ যেমন বাড়ে, সেইসঙ্গে বাড়ে ফাউলের দিক থেকে। দুই দলের প্লেয়ারই একেরপর এক কঠিন ট্যাকেল করে যান। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে এগিয়ে থেকে শুরু করে ভারত। ৪৮ মিনিটের মাথায় পুজারি একটি পাস বাড়ান তবে সুনীল সেটাকে গোল করতে পারেননি। এরপর ৬০ মিনিট পর্যন্ত আক্রমণ চালিয়ে যায় ভারত। আকাশ মিশ্র, সামাদরা একেরপর এক আক্রমণ তুলতে থাকেন। কিন্তু আটকে যায় কুয়েতের ডিফেন্সে।
অন্যদিকে সুযোগ খুঁজতে থাকে কুয়েত। কিন্ত ভারতের ডিফেন্সে আটকে যায়। ৬৩ মিনিটের মাথায় সুযোগ পান ছাংতে। এরপর অনিরুদ্ধ থাপা ও ছাংতের জুটিতে ভালোভাবে ম্যাচের হাল ধরে ভারত। তবে ফিনিশিংয়ের অভাব দেখা যাচ্ছিল। নয়ত ফাউল হচ্ছিল। ফলে নির্ধারিত ওভারে কোনও দলই গোল করতে পারেনি। ৯০ মিনিট শেষ হয় ১-১ গোলেই। নির্ধারিত সময়ে ভারত মোট ফাউল করে ২০টি ও কুয়েত করে ১০টি। রেফারি সঠিক গতিতে হলুদ কার্ড দেখালে হয়ত দুই দলের অর্ধেক প্লেয়ারই উঠে যেতেন।
এরপর ম্যাচ যায় এক্সট্রা টাইমে তবে সেখানেও গোল হয়নি। বরং প্লেয়ারদের চোট আঘাতের পরিমাণ বাড়তে থাকে। অতিরিক্ত গরম আর ম্যাচের ধকল দেখা যাচ্ছিল প্লেয়ারদের চোখেমুখে। এরপর ম্যাচ গড়়ায় টাই ব্রেকার। সেমিফাইনালের পর ফাইনাল ম্যাচও গড়াল টাইব্রেকারে। ট্রাইবেকার ভারত জিতল ৫-৪ গোলে।

Related posts

কেন্দ্রীয় বাজেটের প্রতিবাদ জানাল আমরা বাঙালী

চুরি যাওয়া সামগ্রী সহ দুই চোরকে জালে তুলল পুলিস

বিদ্যাদেবী সরস্বতীর আরাধনায় ব্রতী হয়েছেন সকলে