৪ দফা দাবিতে জেলা শাসকের কাছে তিন সংগঠনের ডেপুটেশন

আগরতলা : ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণের দাবিতে ফের রাজধানীতে মিছিল করে জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দিল কৃষকসভা- ক্ষেতমজুর ইউনিয়ন ও জি এম পি। ২০২২ সালের ডিসেম্বরের প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে ত্রিপুরার লক্ষাধিক কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।বিভিন্ন সময়ে ত্রিপুরার কৃষকসভা বিডিও স্তর থেকে মন্ত্রী পর্যন্ত ডেপুটেশনের মাধ্যমে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল।আশ্বাস মিলেছে কিন্তু এক টাকারও কাজ হয়নি।এই সমস্ত বিষয় নিয়ে আবার সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য ত্রিপুরার আটটি জেলাতেই চার দফা দাবিতে জেলা শাসকের কাছে গণ ডেপুটেশনের ডাক দিয়েছিল সারা ভারত কৃষক সভা।সঙ্গে ক্ষেত মজুর ইউনিয়ন ও গণমুক্তি পরিষদ। সেই মতো বুধবার তিন সংগঠন মিলে ডেপুটেশন দেয় পশ্চিম জেলার জেলা শাসকের কাছে ।কৃষক সভার রাজ্য কমিটির অফিসের সামনে থেকে এই চার দফা নিয়ে তিন সংগঠন মিছিল করে অফিস লেন যায়। মিছিল শেষে অফিস লেনে সদরের এস ডি এম অফিসের গেটের সামনে হয় পথ সভা।সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সারা ভারত কৃষক সভার ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির সম্পাদক পবিত্র কর অভিযোগ এই সরকার কথা দিয়ে কথা রাখে না। প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য কৃষকদের ধান থেকে সবজির চরম ক্ষতি হয়।এতে লক্ষাধিক কৃষক চরম আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হন।পবিত্র কর বলেন আশ্বাসের পর আশ্বাস দিতে দিতে ক্লান্ত মন্ত্রীরা এখন মন্দির ধোয়াতে ব্যস্ত, ভাবটা এমন যেন রাম মন্দির হয়ে গেলেই কৃষকদের দেওয়া আশ্বাস পূরণ হয়ে যাবে।তিনি বলেন কৃষক সভার সাথে ডেপুটেশনে কৃষিমন্ত্রী ও খাদ্যমন্ত্রী যা আশ্বাস দিয়েছিলেন , বিধানসভায় দাঁড়িয়ে ‘কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত তাদের অতি শীঘ্রই সাহায্য দেওয়াহবে’ বলে মন্ত্রীর যে স্বীকারোক্তি তার ছিটে ফোঁটাও এগোয়নি সরকার।ডেপুটেশন থেকে ফিরে এসে কৃষকসভার পশ্চিম জেলা কমিটির সম্পাদক মধুসূদন দাস বলেন চার দফা গুরুত্বপূর্ণ দাবি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।জেলা শাসক সমস্যা সমাধানে নির্দিষ্ট স্থানে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।

Related posts

সমাপ্ত হল এনসিসি ১৩ ত্রিপুরা বাহিনীর উদ্যোগে আয়োজিত ১০ দিন ব্যাপী কম্বাইন্ড প্রশিক্ষণ শিবির

অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের দাবিতে এস.ডি.পি.ও আমতলির নিকট ডেপুটেশান প্রদান করল ভারতীয় মজদুর মনিটরিং সেল

North Tripura to benefit from new agricultural schemes: CM