আগরতলা : ১৯ জানুয়ারি ১৯৮২ তে পুলিশের গুলিতে নিহত দশজন কৃষকনেতাকে শ্রদ্ধা জানায় সারা ভারত কৃষকসভা ,সি আই টি ইউ, গণতান্ত্রিক নারী সমিতি, রাজ্য ক্ষেতমজুর ইউনিয়ন ও গণমুক্তি পরিষদ।শুক্রবার শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পর হয় পথসভা।পথসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সারা ভারতকৃষক সভার ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির সম্পাদক পবিত্র কর বলেন ঐ রক্তাত্ব আন্দোলনের পর কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষের আন্দোলন ও ধর্মঘট ভারতের মানুষ দেখেছেন একুশবার।আজকে শ্রমজীবী মানুষের ওপর মোদি সরকারের যে অত্যাচার শুরু হয়েছে তার প্রতিরোধের রাস্তা কৃষক শ্রমজীবী মানুষ, ছাত্র যুবক ও মহিলারা তৈরি করেছে।এই সংঘবদ্ধ আন্দোলন ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।২৬ জানুয়ারি দেশের ৫০০টি জেলায় ট্রাকটার মিছিলের জেহাদে সারা দেশ জানতে চাইবে ‘ ‘কেন দেশের কৃষক শ্রমজীবী মানুষের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করলে মোদি সরকার’? পবিত্র কর বলেন ‘মনের ভাবটা এমন যেন শুধু মন্দির পরিস্কার করে বা মন্দির নির্মাণ করেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে’।তিনি বলেন ন্যুনতম সহায়ক মূল্য দেওয়ার কথা, বিদ্যুৎ বিল প্রত্যাহার করা, শস্যের উৎপাদনের সময়ে কৃষকদের যে ক্ষতি তার প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ দেওয়া,মাসিক ১৮০০০ টাকা প্রদান, শ্রম কোড বাতিল করা,২০০দিনের রেগার কাজ বাধ্যতামূলক করার মত দাবিগুলো সরকার মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েও কথা রাখেনি।তিনি বলেন মানুষের ঐক্যবদ্ধ লড়াই এই জবাব চাইবে এবং জবাব দেবে। রাজ্য সি আই টি ইউর রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক শঙ্কর দত্ত বলেন গত দশ বছর ধরে একটি সরকার দেশে চলছে মানুষের ন্যুনতম সমস্যার সমাধান করতে না পেরে।বিজেপি সরকার সমস্ত বিভাগেই ব্যর্থ।তিনি বলেন ধর্মপ্রাণ মানুষের ওপর আঘাত হেনেছে ধর্মীও বিভেদ সৃষ্টি করে। বিজেপি আর এস এসের সরকার ধর্মকে রাজনীতির সাথে মিশিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে বলে শঙ্কর দত্ত অভিযোগ করেন।তিনি মোদি সরকারের অপকর্মের কথা ঘরে ঘরে পৌঁছানোর সংগ্রাম জারি থাকার কথা ঘোষণা করে বলেন এই সংগ্রাম সফল করেই শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে শ্রমজীবী মানুষ।
১০ শহিদকে শ্রদ্ধা জানানো হল রাজধানীতে
132
previous post