আগরতলা : আজকাল কর্মব্যস্ত জীবনে অনেকের বাড়িতেই কম বেশি গৃহপরিচারিকা থাকেন।অনেকে বাড়িতে বয়স্ক লোকজনকে দেখাশোনা করার জন্যও লোক রাখেন। প্রয়োজনে এদের রাখুন। তবে অবশ্যই এদের সম্পর্কে সমস্ত কিছু খোঁজ নিয়ে। আর তা নাহলে আপনাদের মনে বিশ্বাসের জন্ম দিয়ে অবিশ্বাসের কাজ করে ফেলবে এদের মধ্যে কেউই না কেউ। হারাতে হতে পারে আপনার ঘরে মূল্যবান জিনিস। নগদ অর্থ। রাজধানীতে সদ্য ঘটে যাওয়া এক ঘটনার পরে এমন প্রশ্নের উঁকি দিল। ঘটনা ঘটলো ভাটি অভয়নগর এলাকায়।
জানা গেছে স্থানীয় বাসিন্দা ডাঃ ইন্দ্রনীল নন্দির বাড়িতে উনার বয়স্ক মা সহ দুইজন বয়স্ক মহিলাকে দেখভাল ও কাজের জন্য ২০২৩ সালে কাজে যোগ দেন পশ্চিম ভুবনবনের যমুনা ভট্টাচার্য নামে এক কাজের মহিলা।সারা দিন বাড়িতে দুইজন বয়স্ক মহিলা ছাড়া যমুনাই থাকেন। অভিযোগ এর পর থেকে প্রায়শই তাদের ঘর থেকে বিভিন্ন জিনিস টাকা চুরি হতে থাকে। গত বছর নভেম্বরে ডাঃ ইন্দ্রনীল নন্দির বিয়ে ঠিক হয়। তখন বাড়িতে সকলেই ব্যস্ত। এর ফাঁকে ইন্দ্রনীল বাবুর বিয়ে গলার হার সহ বোন জামাই ও ভাগ্নের স্বর্ণালঙ্কার চুরি হয়। চুরি হয় নগদ অর্থও কিন্তু তারা ভেবে উঠতে পারছিলেন না কে চুরি করছে। গৃহপরিচারিকাকেও সন্দেহ করতে পারছেন না। কারণ বিশ্বাস তৈরি হয়ে গিয়েছিল। এর মধ্যে বিয়ে শেষ হয়।সম্প্রতি ডাঃ ইন্দ্রনীল ও উনার নব বধূ কাজে চলে গেলে আলমারিতে রাখা টাকা মিসিং হয়ে যায়। যমুনার প্রতি সন্দেহ হওয়ায় একটি মোবাইল চিকিৎসক ঘরে ভিডিও করার মোডে রেখে দেন ।অবশেষে শনিবার হাতে নাতে ধরা পড়েন বাড়ির যমুনা। মোবাইল ক্যামেরায় ধরা পড়ে যমুনার কীর্তিকলাপ পাশাপাশি ইন্দ্রনীল নন্দির মাও জানালা দিয়ে দেখতে পান আলমারি খুলে টাকা সরানোর দৃশ্য।রবিবার গৃহপরিচারিকাকে গ্রেপ্তার করে এন সি সি থানার পুলিস। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার বাড়ি থেকে নগদ ২৪ হাজার ৫৬৫ টাকা, একটি হার এবং দোজোড়া কানের দুল সহ একটি দামি ল্যাপটপ উদ্ধার করে পুলিস। রবিবার মহিলাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।