আগরতলা : এবার থেকে ভর্তুকিতে ন্যায্যমূল্যের দোকানে মিলবে গোমতী ডেয়ারি ফার্মের উৎপাদিত ঘি,পনির, আইসক্রিম ও দই। তবে রাজ্যের সমস্ত রেশনশপে নয়। পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে সদর মহকুমার ১৫ টি রেশনশপে দেওয়া হবে এসব জিনিস। পরবর্তী সময়ে রাজ্যের অন্য জায়গায় এই পরিষেবা চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। মঙ্গলবার মহাকরণে খাদ্য দপ্তরের সিদ্ধান্তের কথা জানাতে গিয়ে এই কথা জানান দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য দপ্তরের সচিব রাভেল হেমেন্দ্র কুমার,অধিকর্তা নির্মল অধিকারী, অতিরিক্ত অধিকর্তা অনিমেষ দেববর্মা। দপ্তরের নেওয়া আরও কয়েকটি সিদ্ধান্তের কথা জানাতে গিয়ে মন্ত্রী জানান, রাজ্যে বর্তমানে ২০৬০ টি রেশনসপ রয়েছে।২৫২ টি নতুন রেশনসপ খোলা হয়েছে বিগত পাঁচ বছরে রাজ্যে। আরও ৫১ টি রেশনসপ খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী আরও জানান,৮০০ বা এর বেশি রেশনকার্ড যেসব ন্যায্যমূল্যের দোকানে রয়েছে সেগুলি ভেঙে নতুন ৫১ টি খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।সদর মহকুমার অরুন্ধতিনগর খাদ্য দপ্তরের সেন্ট্রাল স্টোরে বর্তমানে ২৬ জন মহিলা কর্মীর দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে ক্লিনার হিসেবে কাজ করছেন।খাদ্য গুদামে নিযুক্ত ২৬ জন মহিলা ক্লিনারের দৈনিক মজুরি পরিমাণ ১৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৩০৬ টাকা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সুশান্ত চৌধুরী সাংবাদিক সম্মেলনে জানান। তাছাড়া সিদ্ধান্ত হয়েছে রাজ্যের প্রায় নয় লক্ষ ৭৬ হাজার রেশন কার্ডধারী পরিবারকে এককালীন দুই মাস ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ মাস পাঁচ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। রাজ্যের সকল রেশন কার্ডধারী পরিবারকে দুই মাস অতিরিক্ত পাঁচ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। প্রতি কেজি ১৩ টাকা করে দেওয়া হবে।
সদরের ১৫ রেশনে মিলবে গোমতী ডায়েরির দুগ্ধপণ্য
99