গুণগত শিক্ষার বিকাশের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত গড়ে তুলতে সরকার আন্তরিক: মুখ্যমন্ত্রী

আগরতলা : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দিকনির্দেশনায় আমাদের সরকার ত্রিপুরার বিভিন্ন প্রান্তে বিদ্যালয়ের পরিকাঠামো উন্নত করার জন্য ক্রমাগত কাজ করছে। গুণগত শিক্ষার বিকাশে বিদ্যালয় পরিকাঠামো সম্প্রসারণে খুবই আন্তরিক রাজ্যের বর্তমান সরকার। গ্রামীণ ত্রিপুরায় উন্নয়নের দিশায় ডাবল-ইঞ্জিন সরকারের যে প্রয়াস এরই একটি বাস্তব উদাহরণ বিদ্যালয়ের পরিকাঠামো উন্নয়ন। সেই দিশা নিয়েই ছাত্রছাত্রীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।

সোমবার ঊনকোটি জেলায় শিক্ষা পরিকাঠামো সংক্রান্ত একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সূচনা করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। এদিন এই জেলায় পঞ্চমনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন ভবন ও ধনবিলাস উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পাশাপাশি বেলকুমবাড়ি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও বৈদ্যনাথ মজুমদার স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাবরেটরির উদ্বোধন করেন তিনি।

স্কুলের নতুন ভবন উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকার শিক্ষা ক্ষেত্রে পরিকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে। এক্ষেত্রে গ্রামীণ এলাকায় থাকা বিদ্যালয়গুলির পরিকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় স্কুলগুলিতে পঠনপাঠনের মান বৃদ্ধি করা হচ্ছে। স্কুলগুলিতে পরিকাঠামো যথাযথ না হলে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশুনাও ঠিকভাবে হয় না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলছেন, আগামীদিন ভারত তথা পৃথিবী তাদের হাতের মুঠোয় থাকবে যাদের কাছে জ্ঞান রয়েছে। জ্ঞানের বিদ্যাপীঠ হচ্ছে এধরণের বিদ্যামন্দির। কাজেই পরিকাঠামো উন্নয়ন না হলে আগামীদিনে যাদের হাতে দেশ ও রাজ্যের দায়িত্বভার থাকবে, তাদের কাছে যথার্থ জ্ঞান না থাকলে দেশ ও রাজ্য পরিচালনা করতে পারবে না। সেই দিশায় নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে এই সরকার।

অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা আরো বলেন, আমরা চায় ‘এক ত্রিপুরা, শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা’ গড়ে উঠুক। গতকালও বিভিন্ন জায়গায় উন্নয়নমূলক প্রকল্পের পরিকাঠামো উন্নয়নের সূচনা করা হয়। খেলাধূলার উন্নয়নের জন্য উদ্বোধন করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের শিলান্যাস করা হয়েছে। এখন রাজ্যের সব জায়গায় উন্নয়ন আর উন্নয়ন। স্কুলগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে উপকৃত হবে ছাত্রছাত্রীরা। কোন স্কুলে শিক্ষক স্বল্পতা থাকলে সেটা পূরণ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। এজন্য শিক্ষকদেরও অভিজ্ঞ ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হতে হবে। অন্যথায় ছাত্রছাত্রীরা যথাযথ জ্ঞান অর্জন করতে পারবে না। রাজ্য সরকার সবদিক বিচার বিবেচনা করে ই – প্ল্যাটফর্ম, ই – লাইব্রেরী তৈরি করেছে। ই – ক্লাশের মাধ্যমে দেশের নামীদামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। ছাত্রছাত্রীদের আধুনিক মানের শিক্ষা প্রদানের জন্য যা যা করার দরকার সেটা করা হচ্ছে। এছাড়া কোন জায়গায় খামতি থাকলে সেটা সমাধানের জন্য শিক্ষা দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিন এসকল কর্মসূচিতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রী টিংকু রায় সহ জেলা প্রশাসন ও শিক্ষা দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকগণ। সব জায়গাতেই ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক শিক্ষিকা এবং অভিভাবকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

Related posts

প্রথমবারের মতো ত্রিপুরায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ক্রীড়া সাংবাদিকদের সেমিনার

উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে রাজধানীর জগন্নাথ জিউ মন্দির থেকে বের হয় রথ

Govt tirelessly working to fill up vacant posts: CM