আগরতলা : কথায় আছে ভাত দেওয়ার মুরোদ নেই কিল মারার গুসাই। এই কথাটিই যেন লক্ষ্য করা গেল বৃহস্পতিবার রাতে।বিকেল থেকে রাত অবধি দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে পেট্রোল না মিললেও পুলিসের লাটিচার্জের শিকার হয়েছেন লোকজন। রাজ্য জুড়ে জ্বালানি তেলের হাহাকার। যে পাম্পেই পেট্রোল আসছে সেখানেই সকাল থেকে দীর্ঘ লাইন পড়ছে বাইক চালকদের। এক-দেড় কিলোমিটার পর্যন্ত লম্বা লাইন নজরে পড়ছে। কাজ ফেলে লোকজন পেট্রোলের জন্য লাইন দিচ্ছেন। কয়েক ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে কারো মিলছে তো আবার কারো ভাগ্যে জুটছে না পেট্রোল। অনেকেই নিরাশ হয়ে বাড়ি ফিরছেন। যাদের বাইকে পেট্রোল নেই তারা হেঁটেই বাইক নিয়ে বাড়ি মুখী হচ্ছেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে ঘটলো অনভিপ্রেত ঘটনা। রাজধানীর গণরাজ চৌমুহনী পেট্রোল পাম্প থেকে জ্বালানি নেওয়ার জন্য প্রতিদিনের মতো এদিনও ভিড় করেন লোকজন। দীর্ঘ লাইন পড়ে। রাতে একটা সময় পাম্প থেকে নির্দিষ্ট সংখ্যক বাইক চালককে টুকেন দেওয়া হয়। কিন্তু রাত ১১ টা বেজে যাওয়ার পর পেট্রোল দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়। অভিযোগ পেট্রোল নেই জানিয়ে তেল দেওয়া বন্ধ করা হয়।যাদের টুকেন দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যেও কিছু লোক পেট্রোল পায়নি এতে দীর্ঘ সময় ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা লোকজনের মধ্যে ক্ষোভ ছড়ায়। তারা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। অভিযোগ পাম্প কর্তৃপক্ষের তরফে লোকজনের সঙ্গে কোন কথা বলা হয়নি। ঘটনাস্থলে থাকা পুলিস লোকজনের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সুরাহার চেষ্টা করেন। অভিযোগ আচমকা পেট্রোলের জন্য অপেক্ষা করতে থাকা লোকজনের উপরে রাতের আঁধারে লাটিচার্জ করে পুলিস। এতে অল্পবিস্তর কয়েকজন আহত হন। পুলিস এক যুবককে গ্রেপ্তারও করেছে।এদিকে লাটিচার্জ এর ঘটনা ক্যামেরায় ধরা পড়লেও পুলিসের দাবি তারা লাটিচার্জ করেন নি। শুধু কোন ধরণের হিংসার ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য যুবকদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে রাতের বেলা পেট্রোলের জন্য অপেক্ষা করা যুবদের উপর লাটিচার্জ কার অনুমতিতে করেছে পুলিস? লাটিচার্জ করার আগে যে নিয়ম রয়েছে তা পালন করেছে কি পুলিস? কি এমন পরিস্থিতি হল সরাসরি একেবারে প্রথম ধাপেই পুলিসকে লাটিচার্জ করতে হল? দাবি উঠেছে ঘটনার তদন্তের?