ত্রিপুরা আগরতলা : ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব পড়তে পারে রাজ্যেও। তাই মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে রাজস্ব দপ্তরের তরফে। রবিবার সাংবাদিক সম্মেলনে বিস্তারিত জানান রাজস্ব দপ্তরের সচিব সহ সংশ্লিষ্টরা। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমাল আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রবিবার মাঝরাতে। এর প্রভাব পড়তে পারে ত্রিপুরায়ও। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় এর জেরে ভারি বৃষ্টি ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগেই সব জেলার জেলা শাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রবিবার মহা করণে সাংবাদিক সম্মেলনে রাজস্ব দপ্তরের সচিব ব্রিজেশ পাণ্ডে বলেন মুখ্য সচিবের উপস্থিতিতে বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে। সেই বৈঠকে বেশকিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। ২৭ ও ২৮ মে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অঙ্গন ওয়াড়ি সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও স্কুল এখন বন্ধ রয়েছে।জেলা শাসক ও খাদ্য দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী মজুত রাখার জন্য। এনডিআরএফ-এর সাথে বৈঠক করা হয়েছে। বৈঠক কড়া হয়েছে এনডিআরএফ-এর সঙ্গে। তিনটি দল পৃথক পৃথক জেলায় মোতায়েন করা হবে। বিদ্যুৎ দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার জন্য আগাম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাখার জন্য। বন দপ্তরের কর্মী, দমকল বাহিনীর কর্মী ও পূর্ত দপ্তর সম্মিলিত ভাবে কাজ করবে।সাংবাদিক সম্মেলনে আগরতলা বিমানবন্দর আবহাওয়া দপ্তরের বিজ্ঞানী পার্থ রায় জানান, রবিবার মধ্যরাতে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে আছড়ে পড়তে পারে। তার প্রভাবে রাজ্যের দক্ষিন, গোমতী, সিপাহীজলা, ধলাই, খোয়াই এবং পশ্চিম জেলায় রবিবার রাতে বজ্রপাত, ভারি বৃষ্টি সহ ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে। ঊনকোটি ও উত্তর ত্রিপুরা জেলায় বজ্রপাত সহ ভারি বৃষ্টি হতে পারে। সোমবার প্রতিটি জেলায় বৃষ্টি হতে পারে। তবে গোমতী ও সিপাহীজলা জেলায় ভারি বৃষ্টি হতে পারে। একই সাথে ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই এই দুইটি জেলায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার উত্তর, ঊনকোটি ও ধলাই জেলায় ভারি বৃষ্টি হতে পারে। অন্যান্য জেলায় হাল্কা বৃষ্টি সহ বজ্রপাত হতে পারে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সকলের সহযোগিতাও চেয়েছেন তারা। সাংবাদিক সম্মেলনে ছিলেন ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট স্টেট প্রজেক্ট অফিসার শরত দাস সহ অন্যরা।