ত্রিপুরা আগরতলা: মজলিশপুর মণ্ডল এলাকা থেকে ৫০০ ইউনিট রক্ত সংগ্রহ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। সেইমতো ভারতীয় জনতা পার্টি মজলিশপুর মণ্ডল ও বিভিন্ন মোর্চার উদ্যোগে রক্তদান শিবির ধাপে ধাপে করা হচ্ছে। যুব, এস সি মোর্চার পর এবার বিজেপি মজলিশপুর জনজাতি মোর্চার তরফে হয় রক্তদান শিবির। রবিবার সংগঠনের তরফে মজলিশপুর বিধানসভা কেন্দ্রের জিরানিয়া পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত বড়জলা বীণাপানি বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে হয় মজলিশপুর জনজাতি মোর্চার রক্তদান শিবির। এর উদ্বোধন করেন এলাকার বিধায়ক তথা পর্যটনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। এছাড়াও ছিলেন বিজেপি মজলিশপুর মন্ডল সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিক, জিরানীয়া পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান প্রীতম দেবনাথ, জনজাতি মোর্চার মন্ডল সভাপতি সুধন দেববর্মা। শিবিরে রক্তাদাতাদের উৎসাহ দেন অতিথিরা। আলোচনা করতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, মানবিক কার্যকলাপে অনুপ্রেরণা,উৎসাহ জোগানো এবং উদ্যোগী হওয়া মূল লক্ষ্য হতে হবে। এর ফলে আগামী দিনে মানুষের দূর্ভোগ অনেক কম করা যাবে।তিনি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, বেসরকারী সংগঠন এবং সাধারণ মানুষের কাছে রক্তদানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। এর ফলে রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংক গুলিতে জরুরি প্রয়োজনে রক্তের মজুতের পরিমান সঠিক মাত্রায় বজায় থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। মন্ত্রী অভিযোগ করেন,বিগত সরকারের সময়ে জনজাতিদের মধ্যে রক্তদানে উদ্বুদ্ধ করার জন্য কোন উদ্যোগী নেওয়া হয়নি। কিন্তু বর্তমান সরকার সেই কাজটা করছে।এতে সফলতাও আসছে। মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, মানুষের জীবন বাঁচানো মনুষ্যত্বের একটি বড় দিক। যে কোনো সুস্থ ব্যক্তি ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত রক্তদান করতে পারেন। বছরে চার বার রক্তদান করলে সুস্থ থাকা যায় বলে তিনি জানান। রক্তদান করলে রক্তদানকারীরাও অনেকরকম ভাবে সুস্থ থাকতে পারেন। এদিন শিবিরে রক্তদাতাদের মধ্যে বেশ উৎসাহ লক্ষ্য করা যায়।
মজলিশপুর জনজাতি মোর্চার রক্তদান শিবিরে ছিলেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী
129
previous post