ত্রিপুরা আগরতলা : চলতি রবি মরসুমেও রাজ্য সরকার কৃষকদের কাছ থেকে সহায়কমূল্যে ধান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই মরশুমে ১৫ জুন থেকে ধান কেনার কর্মসূচী শুরু হবে এবং রাজ্যস্তরে এর আনুষ্ঠানিক সূচনা হবে দক্ষিন ত্রিপুরা জেলার শান্তিরবাজার মহকুমায়। ৩১জুলাই পর্যন্ত এই কর্মসূচী জারি থাকবে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এর জন্য পর্যায়ক্রমে মোট ৩১ টি অস্থায়ী ধান কেনা কেন্দ্র খোলা হবে। এই মরসুমে ১৬ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে এবং এই জন্য সহায়ক মূল্য বাবদ মোট প্রায় ৩৫ কোটি টাকা ব্যয় হবে। সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানান খাদ্য দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। সোমবার মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলন করেন মন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন দপ্তরের সচিব ও অধিকর্তা।সাংবাদিক সম্মেলনে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী জানান রাজ্য সরকারের ঐকান্তিক উদ্যোগে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে প্রথম বারের মত রাজ্যে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান কেনার কর্মসূচী শুরু করা হয়েছিল। এর পর থেকে প্রতিবছর খরিফ ও রবি এই দুই মরসুমে রাজ্যে নিয়মিতভাবে কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয়ের এই কার্যক্রম জারি রাখা হয়েছে। বর্তমানে ধানের সহায়ক মূল্য কুইন্টাল প্রতি ২১৮৩- টাকা যা ভারত সরকারের নির্ধারিত। তিনি আরও জানান এফসিআই থেকে রাজ্যের সরকারী খাদ্য গোদামে গনবন্টনের জন্য খাদ্যশস্য পরিবহন এবং ন্যায্যমূল্যের দোকানে এই খাদ্যশস্য সহ অন্যান্য রেশন সামগ্রী সঠিক সময়ে পৌঁছাতে পরিবহনের কাজে খাদ্য দপ্তর টেন্ডারিং এর মাধ্যমে ট্রান্সপোর্ট কন্খাদ্য দপ্তর প্রায় ১ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে আরো ৫টি নতুন ট্রাক কিনেছে। এজন্য প্রয়োজনীয় অর্থ খাদ্য দপ্তরের নিজস্ব ক্যাশ ক্রেডিং অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া হয়েছে। ১১ জুন আগরতলার এ ডি নগরস্থীত সেন্ট্রাল স্টোরে এই ট্রাকগুলির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হবে।পাশাপাশি মন্ত্রী আরও জানান,সম্প্রতি দক্ষিন জেলার শান্তিরবাজার মহকুমায় আরো একটি সেকেন্ডারী স্ট্যান্ডার্ড ল্যাবরেটরি বিল্ডিং তৈরীর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এই কাজের জন্য যাবতীয় অর্থ কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বরাদ্দ করা হয়েছে। এই নতুন ভবনটি ১৫ জুন, আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে। এদিকে সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে বিভিন্ন উঠে আসে মন্ত্রী বক্তব্যে। রাজ্যের পর্যটন নিয়ে মন্ত্রী জানান, নারিকেল কুঞ্জে হাউস বোটের কাজ চলছে। তাছাড়াও ঊনকোটি ও ছবিমুড়াকে নিয়ে ১০০ কোটি টাকার উপরে কাজ হবে।দরপত্র চূড়ান্ত হয়ে গেছে।অল্পদিনের মধ্যেই এই কাজ শুরু হবে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি জানান, জম্মু-কাশ্মীরে ডাল লেকে যে ধরণের বোট থাকে সেই ধরণের তৈরি করা হবে রাজ্যেও। রাজ্যের বিভিন্ন পর্যটন স্থল ডম্বুর, ছবিমুড়া, নিরমহলে এগুলি দেওয়া হবে। খুব শীঘ্রই ছবিমুড়াতে লগ হাট উদ্বোধন করা হবে।