বয়স বাড়লে কমতে পারে উচ্চতা? কাদের ঝুঁকি বেশি? কোন পথে মিলবে সমাধান?

কলকাতা : বয়স বাড়লে ক্ষয় হয় হাড়ের। হাড়ের যে রোগগুলি সবচেয়ে বেশি মানুষকে আক্রমণ করে, তার মধ্যে অন্যতম অস্টিয়োপোরোসিস। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, প্রাথমিক ভাবে বিশেষ কোনও উপসর্গ না থাকলেও বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পিঠে তীব্র ব্যথা শুরু হয় এই রোগে। এমনকি, কমে যেতে পারে দেহের উচ্চতাও! মূলত চাকতির মতো যে হাড় বা ডিস্ক থাকে, তা জলশূন্য হয়ে পড়ার কারণেই মেরুদণ্ডের দৈর্ঘ্য কমে যায়। তবে মেরুদণ্ডের হাড়ের বহুস্তরীয় চিড় ধরলে

শুধু অস্টিয়োপোরোসিসই নয়, হাড়ের ক্ষয় থেকে দেখা দিতে পারে হরেক রকমের সমস্যা। বয়স চল্লিশ পেরিয়ে গেলে যা আরও বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের সমস্যা মোকাবিলা করার সবচেয়ে মোক্ষম হাতিয়ার সঠিক খাওয়াদাওয়া।

 

কী কী খাবেন?

 

ক্যালশিয়াম: এই মৌল হাড়ের সবচেয়ে বড় বন্ধু। এক জন পূর্ণবয়স্ক পুরুষের দৈনিক ১০০০ মিলিগ্রাম ক্যালশিয়াম প্রয়োজন। নারীদের ক্ষেত্রে এই মাত্রা ১২০০ মিলিগ্রাম। ক্যালশিয়ামের সবচেয়ে ভাল উৎস দুধ। কিন্তু যাঁরা দুধ ও দুগ্ধজাত পদার্থ খেতে পারেন না, তাঁদের গাঢ় সবুজ রঙের শাকসব্জি খাওয়া বাঞ্ছনীয়। পালং শাক, বাঁধাকপি ও শালগমে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম মেলে।

 

ম্যাগনেশিয়াম ও জিঙ্ক: এই দু’টি মৌলও হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় অত্যন্ত জরুরি। কুমড়োর বীজ, বিভিন্ন ধরনের বাদাম ও পালং শাকে ম্যাগনেশিয়ামে পাওয়া যায়। মাংস, ডিম কিংবা ডাল থেকে পাওয়া যায় জিঙ্ক।

 

ভিটামিন: হাড়ের যত্নে ভিটামিন ডি ও ভিটামিন কে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত রোদে কিছু ক্ষণ থাকলে ত্বকেই উৎপন্ন হয় ভিটামিন ডি। তা ছাড়াও বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছেও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। ভিটামিন কে মেলে সবুজ শাকসব্জিতে। হাড়ের স্বাস্থ্যরক্ষায় সমান গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিনও। অনেকে হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে বিভিন্ন সাপ্লিমেন্ট খান। তবে এই ধরনের সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

Related posts

বিশ্ব অপটোমেট্রিক দিবস উপলক্ষ্যে সচেতনতা মূলক পথ নাটক সিটি সেন্টারের সামনে

Liver, Bone Marrow transplants soon, talks on: CM

ত্রিপুরায় একটি স্বাস্থ্য হাব গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে বর্তমান সরকার: মুখ্যমন্ত্রী