বন্যার্তদের সাহায্যের দাবিতে জেলা শাসকের কাছে সিপিএম

আগরতলা : সম্প্রতি বন্যায় রাজ্যের প্রায় অর্ধেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। বন্যায় ৩৩ জনের প্রাণ গেছে। সরকারের তরফে আগাম ব্যবস্থা থাকলে মৃত্যু ঠেকানো যেত। কিন্তু সরকার সেই দায়িত্ব পালন করেনি। সরকারের দিক থেকে আগাম ব্যবস্থা থাকলে ক্ষতি কিছুটা কম হতে পারতো। মঙ্গলবার বন্যার্তদের সাহায্যের দাবিতে গণডেপুটেশনের জমায়েতে একথা বললেন প্রাক্তন মন্ত্রী মানিক দে। সম্প্রতি বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে রাজ্যের মানুষের। ঘর- বাড়ি- কৃষি সবকিছুই নষ্ট হয়ে গেছে। এই বন্যার্তদের ক্ষতি পূরণ, কাজ-খাদ্য, ঘর পুনঃনির্মাণ, কৃষকের জমি, গবাদি পশু-পাখির ক্ষতিপূরণের দাবিতে পথে নামলো সিপিএম। এদিন দলের পশ্চিম জেলা কমিটির তরফে আগরতলা শহরে হয় মিছিল। রাজধানীর ওরিয়েন্ট চৌমুহনী থেকে বের হয় বন্যার্তদের স্লোগান সোচ্চার মিছিল। শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে অফিস লেন এসে শেষ হয়। মিছিলে হাঁটেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার, প্রাক্তন মন্ত্রী মানিক দে, সিপিএম নেতা শঙ্কর প্রসাদ দত্ত, সমর চক্রবর্তী, নারী নেত্রী কৃষ্ণা রক্ষিত, স্বপ্না দত্ত সহ অন্যরা। জমায়েত থেকে এক প্রতিনিধি দল পশ্চিম জেলা শাসকের সঙ্গে দাবি সনদ নিয়ে মিলিত হন। কর্মসূচী থেকে দাবি জানানো হয় ভয়াবহ বন্যাকে জাতীয় বিপর্যয় হিসেবে ঘোষণার। এদিকে জমায়েতে প্রাক্তন মন্ত্রী মানিক দে অভিযোগ করেন, কোথাও কোথাও বন্যা ত্রাণ নিয়ে দলবাজি করা হচ্ছে। বিরোধী দলের সমর্থকদের সরকারি খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হয়নি। বিপর্যস্ত ত্রিপুরাকে পুনরুদ্ধার করতে গেলে মানুষকে বাঁচাতে হলে অর্থের দরকার। ১৫ দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পরেও মানুষ ঘর বাড়ি তৈরির জন্য সরকারি সাহায্য পায়নি।

Related posts

North Tripura to benefit from new agricultural schemes: CM

রাজ্যের মৃৎ শিল্পী, মণ্ডপ সজ্জা ও আলোক সজ্জার সাথে যুক্ত শিল্পীদের নিয়ে কর্মশালা করার উপর গুরুত্ব দেন মুখ্যমন্ত্রী

লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট -৩২২ জির উদ্যোগে প্রথম বারের মতো অনুষ্ঠিত হয় মেগা ফ্রি শপিং ফেস্টিভ্যাল