আগরতলা : রাজ্যে ভয়াবহ বন্যার এক মাস অতিক্রান্ত। কৃষি, মৎস্য সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঘর বাড়ি প্রচুর নষ্ট হয়েছে রাজ্যে। ক্ষতি হয়েছে ব্যবসার। এতো বড় বিপর্যয় এই রাজ্যে কখনও ঘটেনি। কেন্দ্রের সরকার আজ পর্যন্ত কোন আর্থিক প্যাকেজ কিংবা সহায়তার ঘোষণা দেন নি। শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে এই অভিযোগ করলেন ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশিস কুমার সাহা।এদিন বিকেলে প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে হয় সাংবাদিক সম্মেলন। তিনি বলেন, জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা করা হয়নি। রাজ্যের মানুষকে আর্থিক কোন সহায়তা করেনি কেন্দ্রের সরকার। তিনি বলেন এতে করে বোঝা যায় ত্রিপুরা সম্পর্কে কেন্দ্রীয় সরকারের মনোভাব। কেন্দ্রের সরকারের ভূমিকা নিয়ে কংগ্রেস সভাপতি ক্ষোভ জানান। আশিস বাবু বলেন, সম্প্রতি শেষ হওয়া বিধানসভা অধিবেশনে বন্যায় ক্ষতি পূরণে মুখ্যমন্ত্রী যে ঘোষণা দিয়েছেন এবং বিভিন্ন দপ্তরের জন্য যে বরাদ্দ করেছেন তা প্রয়োজনের তুলনায় নগণ্য। তার অভিযোগ কোন ধরণের সার্ভে ছাড়া মর্জিমাফিক অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে বরাদ্দ অর্থ যাচ্ছে না। ফলে তাদের মধ্যে ক্ষোভ। তিনি দলের তরফে দাবি জানান প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে অর্থ পৌঁছে দেওয়ার জন্য সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি জানান এই ইস্যুতে আগামিদিনে কর্মসূচী গ্রহণ করবে কংগ্রেস। এদিকে সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণকে দুই নম্বর বিধায়ক আবাস ছাড়ার জন্য যে নোটিস দেওয়া হয়েছে এনিয়ে আশিস বাবু মন্তব্য করেন এটা অত্যন্ত অমানবিক। সুদীপ বাবুকে বাধ্য করা হচ্ছে হোস্টেল ছাড়ার জন্য। তিনি মনে করেন এর পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রসঙ্গক্রমে বলেন, বিধানসভা অধিবেশনে সুদীপ রায় বর্মণ দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছেন এবং দুর্নীতির মৌচাকে ঢিল মেরেছেন। আর এটা করেছেন বলেই সুদীপ বাবুকে হোস্টেল ছাড়ার জন্য নোটিশ দিতে হবে, এটা অত্যন্ত ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র বলে মন্তব্য আশিসের। কংগ্রেস এর তীব্র প্রতিবাদ জানায় বলে জানান কংগ্রেস সভাপতি।
বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণকে হোস্টেল ছাড়ার নোটিসের প্রতিবাদ কংগ্রেসের
105