আগরতলা : দুর্নীতিবাজ, দুর্বিনীত, অমানবিক ও জনবিরোধী এই সরকারের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক গনতান্ত্রিক আন্দোলনের ডাক দিলেন সিপিআইএম পলিটব্যুরোর সদস্য মানিক সরকার। বেকারত্ব, কর্মসংস্থানের জন্য যুবকরা রাস্তায়, নারীদের বিরুদ্ধে লাগামহীন অত্যাচারের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা চেয়ে নারীরা রাস্তায়, কর্মচারীরা তাদের বঞ্চনার বিরুদ্ধে রাস্তায়, উপজাতি অংশের মানুষ তাদের প্রতি ঔদাসীন্যের জন্যে রাস্তায়, কিন্তু সরকার প্রধান এগুলোর বিরুদ্ধে বিদ্রুপাত্মক বক্তব্য রাখছেন। ভাব এমন যেন ‘কিছুই হয়নি’। তিনি বলেন এর জবাব মানুষের কাছে আছে, মানুষ বুঝতে পেরেছেন চোখে চোখ রেখে এর জবাব দিতে হবে ,তাই এই দুর্যোগের মধ্যেও সমস্ত বাধা বিপত্তিকে পেছনে ফেলে এই বিরাট সংখ্যক মানুষ আজ রাস্তায় নেমে তাদের জেহাদ ঘোষণা করেছেন। বৃহস্পতিবার রাজধানীর প্যারাডাইস চৌমুহনীতে সভা শুরুর আগে রবীন্দ্র শতবর্ষিকী ভবনের সামনে থেকে এক বিশাল মিছিল শুরু হয়।মিছিলের সামনেই ছিলেন মানিক সরকার, জিতেন্দ্র চৌধুরী, পবিত্র কর, মানিক দে, নারায়ণ কর সহ সমস্ত নারী ও যুব নেতৃত্ব । ইদানিং কালের মধ্যে আজকের মত সিপিআইএম দলের এতবড় মিছিল দেখা যায় নি। সরকারের সমস্ত অপদার্থতার বিরুদ্ধে জেহাদ শ্লোগানে শ্লোগানে আলোড়িত করেছিল সমস্ত শহর। আজ শহর পুরোপুরি চলে যায় সিপিএম এর মিছিলের দখলে।সভায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার জানতে চান কেন মা বোনদের নিরাপত্তা নেই? কেন বেকারদের নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে?কেন উপজাতিদের এই করুন অবস্থা? সবকিছুতেই কেন ধর্মীয় ছাপ লাগানো হচ্ছে? কেন অপরাধীদের বিরুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা ক্ষমতাসীন দলের মতো?মানিক সরকার বলেন, একের পর এক খুন ধর্ষণসহ নানা অপরাধমূলক কাজ চলছে অথচ পুলিশের কোনো হেলদোল নেই।সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেন এই সরকারের এক মন্ত্রী দুর্নীতির জবাব দিতে গিয়ে কাঁদতে থাকেন এই বলে যে উনি উপজাতি বলে কি উনার দুটো বাড়ি থাকতে পারে না? জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেন বিজেপি ও দুর্নীতি এখন সমার্থক হয়ে গিয়েছে। গনতান্ত্রিক নারী সমিতির সম্পাদিকা স্বপ্না দত্তও বক্তব্য রাখেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন নারায়ণ কর।
রাজধানীতে বিশাল মিছিল করে প্যারাডাইস চৌমুহনীতে সমাবেশ সিপিএম-র
77