অন্যবছরের মতো জমেনি বিজয়া দশমীর বাজার

আগরতলা : তেমন জমেনি বিজয়া দশমীর বাজার। একদিকে মূল্যবৃদ্ধি অন্যদিকে ক্রেতা ভিড় তেমন ছিল না। এই দুইয়ে ক্রেতা- বিক্রেতার উভয়ের মাথায় হাত। কথায় আছে বাঙালীর ১২ মাসে ১৩ পার্বণ।এর মধ্যে একটি হল বিজয়া দশমী। ভোজন রসিক বাঙালি, সুযোগ পেলেই কবজি ডুবিয়ে খাবে। আর বিজয়া দশমীতে খাবারের পাতে মাছ, মাংস, দই, মিষ্টি থাকবে না, তা কি করে হয়। তাইতো রবিবার বিজয়া দশমী উপলক্ষ্যে সকাল থেকে মাছ, মাংস ও মিষ্টির দোকানে ভিড় জমান ভোজন রসিকরা। এদিন বাজারে ইলিশ সহ বিভিন্ন ধরনের মাছ নিয়ে বসেন বিক্রেতারা। ক্রেতারাও নিজেদের পছন্দ মতো মাছ ক্রয় করেন। এক মাছ বিক্রেতা জানান এই বছর মাছের যোগান ভালো রয়েছে। ভালো ইলিশ মাছ এসেছে বাজারে। তবে এবার দশমীর বাজার দুই দিনে হওয়ায় সেই ভাবে বাজারে ভিড় হয়নি।ইলিশ ছাড়াও বাজারে কাতল, চিংরি, রুই সহ বিভিন্ন ধরনের মাছ নিয়ে বসেন বিক্রেতারা। মাংস বাজারেও এদিন ক্রেতাদের ব্যাপক ভিড় দেখা যায়। তবে অন্যান্য বারের তুলনায় ক্রেতাদের ভিড় কিছুটা কম ছিল। মাংস বিক্রেতারা জানান এবার বাজার ভালো নয়। বাজারে আশানুরূপ ক্রেতা আসেনি। পাঠার মাংস ১২০০ টাকা কিলো দরে বিক্রি করছেন। খাসির মাংসর দামও পাঠার মাংসের মতো।এদিকে পাঁঠার মাংসের পাশাপাশি ব্রয়লার মুরগীর চাহিদাও নেহাত কম ছিল না। কিন্তু যোগান স্বাভাবিক থাকলেও এই বছর ব্রয়লার মুরগীর দাম ছিল বেশি। আস্ত ব্রয়লার মুরগী বিক্রি হয় ১৬০ টাকা কেজি দরে। অন্যদিকে কাটা ব্রয়লার মুরগীর দাম ছিল ২৬০ টাকা কেজি। দেশি মুরগী আস্ত বিক্রি হয়েছে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজি দামে। তবে দাম বেশি হলেও সাধ ও সাধ্যের মধ্যে ভোজন রসিক বাঙালীর মধ্যাহ্নভোজনে ছিল এলাহি আয়োজন। শুধু মাছ- মাংস নয়, মিষ্টির দোকানেও ভিড় জমান ক্রেতারা। এদিনে পরিবার পরিজন কিংবা আত্মীয়স্বজন্দের সঙ্গে মিষ্টি মুখ না করালে কি হয়।

Related posts

Power Minister extends financial help to two needy families in Mohanpur

প্রথম ডিভিশন ফুটবলে ফরোয়ার্ড ক্লাব ও টাউন ক্লাবের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, ম্যাচ ড্র

বিধান শিশু উদ্যান মেধা অন্বেষার উদ্যোগে শিক্ষা অধিকর্তাকে ডেপুটেশন, কিচেন গার্ডেন নিয়ে একাধিক দাবি