নারিকেলকুঞ্জে ত্রিপুরা ট্যুরিজম প্রোমো ফেস্ট ২০২৪’র উদ্বোধন

অমরপুর : বর্তমান সরকার বিশ্বের দরবারে রাজ্যের পর্যটনকে তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছে।

ত্রিপুরা ট্যুরিজম প্রোমো ফেস্টের আয়োজন এই উদ্যোগকে আরও গতিশীল করবে। আজ বিকেলে ধলাই জেলার গন্ডাতুইসা মহকুমার নারিকেলকুঞ্জে ত্রিপুরা ট্যুরিজম প্রোমো ফেস্ট ২০২৪’র উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের উৎসবের মধ্য দিয়ে রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী সমৃদ্ধ সংস্কৃতিকেও তুলে ধরা হবে। তাছাড়াও এই উদ্যোগ পর্যটকদের কাছে রাজ্যের পর্যটনকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে। মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা এদিন ডম্বুর জলাশয়ের উপর নবনির্মিত ঝুলন্ত ব্রিজের উদ্বোধন করেন। তাছাড়াও নারিকেলকুঞ্জের বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠা হোম স্টের ৯ জন বেসরকারি উদ্যোগীদের হাতে রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট তুলে দেন। উল্লেখ্য, ত্রিপুরা সরকারের পর্যটন দপ্তরের উদ্যোগে রাজ্যে এই প্রথমবারের মতো এ ধরনের ট্যুরিজম প্রোমো ফেস্টের আয়োজন করা হচ্ছে। এই উৎসবগুলিতে রাজ্যের ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্র ও পোশাক প্রদর্শন সহ আদিবাসীদের নিয়ে খাদ্য উৎসবের আয়োজন করা হবে। এই উৎসবে আগামী ১৪ ডিসেম্বর প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী শ্রেয়া ঘোষাল অংশ নেবেন।

অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা আরও বলেন, পর্যটনকে ভিত্তি করে রাজ্যে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি জিডিপি বৃদ্ধিরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নারিকেলকুঞ্জে লগহাটের পাশাপাশি আজ এখানে ব্যক্তিগত উদ্যোগে গড়ে উঠা ৭টি স্টে হাউসের উদ্বোধন করা হয়েছে। তিনি বলেন, রাজ্যে পর্যটনের বিকাশে স্বদেশ দর্শন প্রকল্পে ১০টি লগহাট তৈরি করা হয়েছে, যা শীঘ্রই চালু করা হবে। স্বদেশ দর্শন প্রকল্পে রাজ্যে এখন পর্যন্ত ৫১টি লগহাট তৈরি করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকার রাজ্যের সার্বিক বিকাশে পরিকাঠামো উন্নয়নে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে। এখানকার বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যেসব দাবি জানিয়েছিলেন তার অধিকাংশই পূরণ করা হয়েছে।

 

অনুষ্ঠানে পর্যটনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, রাজ্যের অর্থনৈতিক বিকাশে পর্যটন একটি অন্যতম মাধ্যম। পর্যটনের বিকাশে এবং উন্নত পরিকাঠামো গড়ে তুলতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। উদয়পুরের বনদুয়ারে ৫১ পীঠ পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। তাছাড়াও ছবিমুড়া, ডম্বুর, নীরমহল, ঊনকোটি ও জম্পুই পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে আকর্ষণীয় করে তোলা হচ্ছে।

 

পর্যটনমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরা ট্যুরিজম প্রোমো ফেস্টের মাধ্যমে রাজ্যের পর্যটনের প্রতি পর্যটকদের আগ্রহ আরও বৃদ্ধি পাবে। আজ থেকে আগামী ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে এ ধরনের উৎসবের আয়োজন করা হবে। ১৪ ডিসেম্বর আগরতলার স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে হবে সমাপ্তি অনুষ্ঠান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পর্যটন দপ্তরের সচিব ইউ কে চাকমা। সভাপতিত্ব করেন রইস্যাবাড়ি বিএসির চেয়ারম্যান প্রদীপ জমাতিয়া। তাছাড়াও বক্তব্য রাখেন বিধায়ক নন্দিতা দেববর্মা রিয়াং। উপস্থিত ছিলেন ধলাই জিলা পরিষদের সভাধিপতি সুস্মিতা দাস, এমডিসি ভূমিকানন্দ রিয়াং, ডম্বুরনগর বিএসির চেয়ারম্যান প্রেমসাধন ত্রিপুরা, ধলাই জেলার জেলাশাসক সাজু বাহিদ এ ও পর্যটন দপ্তরের অধিকর্তা প্রশান্ত বাদল নেগি।

 

নারিকেলকুঞ্জে ত্রিপুরা ট্যুরিজম ফেস্ট উপলক্ষে স্বসহায়ক দল ছাড়াও ত্রিপুরা পর্যটন উন্নয়ন নিগম লিমিটেডের উদ্যোগে প্রদর্শনী মন্ডপ খোলা হয়। অনুষ্ঠিত হয় নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা। তাছাড়াও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে রাজ্যের বিশিষ্ট শিল্পীগণ অংশ নেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

Related posts

প্রচুর পুলিস-আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন আগরতলাস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনে

আগরতলাস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন অফিস আপাতত বন্ধ ভিসার দেওয়ার কাজ

রবীন্দ্রভবনের সামনে সভা করলো সনাতনী যুবারা