ত্রিপুরা আগরতলা : বাজারে অনেক ধরণের পুরষ্কার কেনা গেলেও রক্তের চেয়ে বড় কোন পুরষ্কার নেই।জনসংখ্যার ১৫ শতাংশ মানুষের শরীরের রক্ত নেগেটিভ গ্রুপের।জনসংখ্যার ১ শতাংশ রক্ত ব্লাড গ্রুপে মজুত না থাকলে সমস্যা হয়। অপারেশনের জন্য অনেক সময় রক্তের প্রয়োজন হয়। বিশ্ব রক্তদাতা দিবসে শুক্রবার একথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। প্রতিবছর ১৪ জুন বিশ্ব রক্তদাতা দিবস পালন করা হয় সারা দেশের সঙ্গে রাজ্যেও।বিভিন্ন জায়গায় হয় অনুষ্ঠান। এবছর রাজ্যভিত্তিক অনুষ্ঠান হয় আগরতলা রবীন্দ্র ভবনে। উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা, স্বাস্থ্য দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে, স্বাস্থ্য দপ্তরের অধিকর্তা ডাঃ সঞ্জীব দেববর্মা সহ অন্যান্যরা। এদিন সেখানে রক্তদান শিবিরও হয়। প্রচুর মানুষ উৎসাহ নিয়ে রক্তদান করেন। শিবিরে নেগেটিভ গ্রুপের তিনজন রক্তদাতাকে পুরস্কৃত করেন মুখ্যমন্ত্রী।পতাকা নেড়ে রক্ত সংগ্রহের ভ্রাম্যমাণ নতুন ভ্যানেরও সূচনা হয়।প্রতিটি গাড়িতে এক সাথে দুইজন রক্তদাতা রক্তদানের ব্যবস্থা রয়েছে।অনুষ্ঠানে আলোচনা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। তিনি বলেন, রাজ্যে রক্তদানে মানুষ এগিয়ে আসছে। রাজ্যে ১২ টি সরকারি ব্লাড ব্যাঙ্ক রয়েছে। এক জন রক্তদাতা চার জন্য মুমূর্ষু রোগীকে বাঁচাতে পারে।মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, রক্তের কোন জাত ধর্ম নেই। রাজ্যের স্বীকৃত ক্লাব গুলি নিয়মিত রক্তদান শিবির করলে সংকট হবে না রক্তের।
মানুষকে রক্তদানে আরো এগিয়ে আসার আহ্বান মুখ্যমন্ত্রী বিশ্ব রক্তদাতা দিবসে
134
previous post