আগরতলা : দেখতে দেখতে পেরিয়ে গেল ৭ বছর। আজো বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে। এখনও প্রয়াত সাংবাদিক শান্তনু ভৌমিকের পরিবার ও সহ কর্মীরা সুবিচার পায়নি। শুক্রবার তার সপ্তম শহীদান দিবস শ্রদ্ধা শপথে পালিত হয়।ডিওয়াইএফ আই জিরানিয়া মহকুমা কমিটির পক্ষ থেকে দিনটি যথাযথ মর্যাদার সাথে পালন করা হয়। রাজধানী সিটি সেন্টারের সামনে এদিন প্রয়াত সাংবাদিক শান্তনু ভৌমিকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন নেতৃত্। উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী মানিক দে, সিপিআইএম পশ্চিম জেলা কমিটির সম্পাদক রতন দাস, ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদক নবারুন দেব, সভাপতি পলাশ ভৌমিক। প্রাক্তন মন্ত্রী মানিক দে বলেন, জাতি জনজাতির সম্প্রীতি বিঘ্নকারী শক্তি বামফ্রন্ট সরকারকে উচ্ছেদ করার জন্য এই ঘটনা সংগঠিত করেছিল। তারা একটা সময় চম্পকনগরে রাস্তার উপর আন্দোলন করেছিল। সেই আন্দোলনের পর আইপিএফটি বিস্তীর্ণ এলাকায় আন্দোলন সংঘটিত করে বিভিন্ন দলীয় কার্যালয় দখল করে। তারপর বামফ্রন্ট সরকারকে ২০১৮ সালের নির্বাচনে রাজ্য থেকে সরাতে গণতন্ত্রের এই শত্রুরা চরম আক্রমণ নামিয়ে আনে জিরানিয়া মহকুমার বিভিন্ন এলাকায়। সেই খবর সাহসিকতার সাথে সংগ্রহ করতে গিয়ে গণতন্ত্রের শত্রুদের হাতে খুন হতে হয়েছে শান্তনু ভৌমিককে। তারপর তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার সিট গঠন করেছিল। তারপর মোটামুটি ভাবে চিহ্নিত হয় এই ঘটনায় কারা জড়িত। পরে সিবিআই এর হাতে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত সিবিআই চার্জশিট জমা দেয়নি। যারা এই ঘটনায় প্রকৃত দোষী ছিল তাদের কোন শাস্তি হয়নি। তারা এখনো ঘুরে বেড়াচ্ছে।তাই এদিন ফের তিনি দাবি জানান দ্রুত তদন্ত শেষ করে দোষীদের গ্রেপ্তার ও কঠোর শাস্তির।
সাংবাদিক শান্তনু ভৌমিকের খুনিরা আজো সাজা পায়নি
93