মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু কর্মসূচিতে সাহায্য প্রত্যাশীদের চিকিৎসা ব্যবস্থা, আর্থিক সহায়তা, আয়ুষ্মান কার্ডের ব্যবস্থা মুখ্যমন্ত্রীর

আগরতলা : রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা এখন অনেকটাই উন্নত হয়েছে। সরকারিভাবে চিকিৎসা পরিষেবার সমস্ত সুযোগ-সুবিধা রয়েছে রাজ্যে। মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু কর্মসূচিতে রাজ্যে উপলব্ধ চিকিৎসা পরিষেবার সুযোগগুলি গ্রহণের জন্য মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা বিভিন্ন সহায়তা প্রত্যাশীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি চিকিৎসার জন্য সাহায্য প্রত্যাশীদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের নির্দেশ দেন।

 

মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে অন্যান্য দিনের মতো আজও মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু কর্মসূচিতে দীর্ঘক্ষণ মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা জনগণের নানাবিধ সমস্যা, অভাব ও অভিযোগ শোনেন। খোয়াইয়ের লাবন্য চৌধুরী পাড়ার প্রিয়া দেববর্মা এসেছিলেন চিকিৎসা সাহায্যের আর্জি নিয়ে। দুর্ঘটনায় তার দেহের অনেকটা অংশ আগুনে পুড়ে যায়। মুখ্যমন্ত্রী তার চিকিৎসায় জিবিপি হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার ডা. শঙ্কর চক্রবর্তীকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। দক্ষিণ জোলাইবাড়ির প্লাবন ভৌমিক থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত তার কন্যা সুপ্রিতা ভৌমিকের চিকিৎসায় সাহায্যের আর্জি জানালে মুখ্যমন্ত্রী সাথে সাথে সুপ্রিতার চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় ওষুধের পাশাপাশি সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তর থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদানে আশ্বাস দেন। আগরতলার উজান অভয়নগরের বাসিন্দা টমটম চালক মতিলাল দেববর্মা তার অসুস্থ ছেলের চিকিৎসার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর সাহায্য চাইলে মুখ্যমন্ত্রী তৎক্ষণাৎ তার ছেলের চিকিৎসার সুবিধার্থে মুখ্যমন্ত্রী জন-আরোগ্য যোজনায় আয়ুষ্মান কার্ডের ব্যবস্থা করে দেন।

পাশাপাশি তার ছেলের চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে জিবিপি হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারকে নির্দেশ দেন। লেম্বুছড়ার রূপালী দাসের বসত ঘরটি আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যাওয়ায় ঘরে থাকা সমস্ত আসবাবপত্র সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও নথি পুড়ে গেছে। স্বামীহারা রূপালী দাস তার একমাত্র ছেলেকে নিয়ে সংসার প্রতিপালন করতে খুবই সমস্যা হচ্ছে বলে জানালে মুখ্যমন্ত্রী মহকুমা শাসকের সাথে কথা বলে পুড়ে যাওয়া কাগজপত্র ও নথিগুলি পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়ার পাশাপাশি সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তর থেকে তার ছেলেকে আর্থিক সহায়তা করার আশ্বাস দেন।

 

বড়জলার প্রান্ত শীল তার বাবার চিকিৎসা, রামনগরের রাজু মিয়া হৃদরোগে আক্রান্ত তার কন্যা জন্নত আক্তারের চিকিৎসা এবং বামুটিয়ার শিপ্রা চক্রবর্তী তার স্বামীর চোখের সমস্যাজনিত অসুস্থতা নিয়ে এসেছিলেন চিকিৎসার সাহায্যের জন্য। মুখ্যমন্ত্রী তাদের চিকিৎসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখে জিবিপি হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার ডা. শঙ্কর চক্রবর্তীকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি প্রান্ত শীলের বাবার চিকিৎসার সুবিধার্থে মুখ্যমন্ত্রী জন-আরোগ্য যোজনায় আয়ুষ্মান কার্ডও ব্যবস্থা করে দেন। তাছাড়াও এদিন লঙ্কামুড়ার চন্দন দেবনাথ, বিশালগড়ের রুখিয়া বেগম, আগরতলা ভট্ট পুকুরের লক্ষ্মী বণিক এবং মুক্তা আচার্য দাস, টাউন বড়দোয়ালীর সুধীর চন্দ্র মজুমদার সহ আরও অনেকে চিকিৎসার সাহায্যের আশ্বাস পেয়েছেন। কৈলাসহরের মাধবী সিনহার বিধবা ভাতা প্রদানে মুখ্যমন্ত্রী সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের সচিব তাপস রায়কে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে বলেন।

 

মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষু কর্মসূচিতে আজ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরেরে সচিব কিরণ গিত্যে, মুখ্যমন্ত্রীর সচিব অপূর্ব রায়, সমাজকল্যাণ ও সমাজশিক্ষা দপ্তরের সচিব তাপস রায়, মুখ্যমন্ত্রী সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. সমিত রায় চৌধুরী, জিবিপি হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার ডা. শঙ্কর চক্রবর্তী, অটল বিহারী বাজপেয়ী রিজিওন্যাল ক্যান্সার হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার ডা. শিরমণি দেববর্মা, আইজিএম হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার ডা. দেবশ্রী দেববর্মা উপস্থিত

ছিলেন।

Related posts

CM stresses rural talents, infrastructure in Tripura Cricket

দুইদিনের বর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১০৬ টি ঘর—রাজস্ব সচিব

মুখ্যমন্ত্রী সমীপেষুতে ১০ মাসের অস্মিতার চিকিৎসা সহায়তার প্রতিশ্রুতি মুখ্যমন্ত্রীর