আগরতলা : ১৫ দফা দাবি আদায়ে ১২ জুলাই বিধানসভা অভিযান করবে কৃষকসভা, জি এম পি ও ক্ষেতমজুর ইউনিয়ন। সাংবাদিক সম্মেলনে ঘোষণা তিন সংগঠনের। রাজ্যের কৃষকদের অবস্থা এক ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে।একই অবস্থা জুমিয়াদের। অভিযোগ কৃষি ক্ষেত্রে কাজ নেই, ফলে ক্ষেত মজুররাও বেকার।দীর্ঘ সময় ধরে রাজ্যের সরকারের নিরব দর্শকের ভূমিকায় কৃষক,জুমিয়া ও ক্ষেত মজুররাও সংকটে ।তাই সরকারের ঘুম ভাঙাতে রাজ্য কৃষক সভা,ত্রিপুরা রাজ্য উপজাতি গণমুক্তি পরিষদ ও ত্রিপুরা ক্ষেত মজুর ইউনিয়ন যৌথভাবে বিধানসভা অভিযানে যাচ্ছে ১২ জুলাই ।মঙ্গলবার কৃষকসভার রাজ্য কমিটির অফিসে এক সাংবাদিক সম্মেলনে কৃষক সভার রাজ্য সম্পাদক পবিত্র কর এই ঘোষণা দিয়ে বলেন বাজেট অধিবেশনকে কাজে লাগাতে এবং সমস্ত বিধানসভা সদস্যদের ওয়াকিবহাল করতে সেদিন শুধু মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি সনদ তুলে দিয়ে দায়িত্বকে এড়িয়ে যাব না বিধানসভার প্রত্যেক সদস্যের হাতে এই দাবি সনদ পৌঁছে দেব। যাতে বিধানসভায় আলোকপাত করতে পারেন। করে পবিত্র কর বলেন জুম চাষীদের অবস্থাও করুণ।খরার জন্য ঝুম চাষীদের কোনো চাষ করার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি, রাজ্য সরকারও সহায়তা প্রদান করে নি।সাধারণ সবজি চাষ খরায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ফলে বাজারে সবজি অগ্নিমূল্য।সরকারের কোনো হেলদোল নেই।তিনি অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী এসব জেনেও বলে চলছেন ১৬হাজার হেক্টরে সবজি হয়েছে। তাহলে কাঁচা লঙ্কা ৫০০টাকা কেজি কেন? গণমুক্তি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাধা চরণ দেববর্মা বলেন রাজ্যে কাজ না পেয়ে খেদাছড়া দামছড়া থেকে মানুষ মিজোরাম চলে যাচ্ছেন।তিনি তিপরা ল্যান্ডের দাবিদারদের তীব্র সমালোচনা করে বলেন এরা বুঝতে পেরেছেন এটা হবে না। তাই তাদের ও বিজেপির নেতারা কাজ না করে টাকা উপার্জন করতে অল্প সল্প রেগার কাজেই থাবা বসাচ্ছে ।ক্ষেত মজুর ইউনিয়নের সম্পাদক শ্যামল দে বলেন কেউ ভালো নেই ।গণতন্ত্রকে জবাই করা হচ্ছে।তাই বাধা মারিয়েই এই অভিযান সফল করার জন্য এই তিন সংগঠন বদ্ধপরিকর বলে তিনি মন্তব্য করেন।-উপস্থিত ছিলেন রাজ্য কৃষকসভার যুগ্ম সম্পাদক রতন দাস। ১২ জুলাই রাজধানীর রবীন্দ্র ভবনের সামনে থেকে তিন সংগঠনের মিছিল বের বিধানসভার উদ্দেশ্যে।