আগরতলা : যেভাবে অনুদানভুক্ত স্কুলের জন্য আইনের সংশোধন করা হয়েছে তাতে কিছু ব্যাক্তি বিশেষ সুবিধা পাবেন। আর এই বিশেষ সুবিধাভোগীরাই এই সংশোধন কমিটিতে ছিলেন। মঙ্গলবার ত্রিপুরা কর্মচারি সমন্বয় কমিটি(এইচ বি রোড)র অফিসে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন ত্রিপুরা বেসরকারি শিক্ষক সমিতি(এইচ বি রোড)র সাধারণ সম্পাদক নন্দন চক্রবর্তী।তিনি অনুদানভুক্ত স্কুলের আইন ২০০৫ এর যে সংশোধন গত ডিসেম্বরে হয়েছে তার তীব্র বিরোধিতা করে বলেন এতে শিক্ষকদের বঞ্চনা ব্যাপক আকার ধারণ করবে।সমিতির সভাপতি অমৃত লাল দেবনাথ বলেন রাজ্যের শিক্ষার উন্নয়নে অনুদানভুক্ত স্কুলের ঐতিহাসিক ও বিরাট ভূমিকা রয়েছে। অনুদান প্রাপ্ত স্কুলগুলি দীর্ঘদিন ধরে নানা সমস্যায় জর্জরিত। অথচ এ রাজ্যের শিক্ষাঙ্গনে এই সব স্কুলের ঐতিহ্য ও শিক্ষার অগ্রগতিতে এই সব স্কুলের ফলাফল সর্বজনবিদিত। অনুদানপ্রাপ্ত স্কুলগুলির মধ্যে আমাদের সংগঠন এখনো একমাত্র বৃহত্তর স্বীকৃত সংগঠন। এই সব স্কুলের ও তাতে কর্মরতদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আমাদের লড়াই সুদীর্ঘকালের ঐতিহ্যমন্ডিত। বেসরকারি শিক্ষক সমিতি এদিন দাবি জানায় দ্রুত নিয়োগের মাধ্যমে সরকারী অনুদানপ্রাপ্ত স্কুলগুলির শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী স্বল্পতা দূর করতে সদর্থক প্রয়াস নেওয়া,স্কুলগুলিতে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধানশিক্ষক নিয়োগকে ত্বরান্বিত করা, প্রমোশনের ক্ষেত্রে সকল পিজিটিদের সুযোগ দেওয়া, ।সিনিয়রিটি তালিকা প্রকাশের মাধ্যমে সিনিয়রমোস্ট শিক্ষকদের এই সব পদে আনতে হবে। কাউকে বঞ্চনা করা চলবে না।এখনো এরাজ্যের শিক্ষকসমাজ ও কর্মচারীদের ২৬ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা পাওনা।তা মিটিয়ে দেওয়ার দাবি জানান।