আগরতলা : রাম লালার প্রান প্রতিষ্ঠাকে কেন্দ্রে করে রাজ্য জুড়ে উৎসবের আহব। সোমবার শহর ও শহরতলীতে যজ্ঞে অংশ নিলেন কেন্দ্রীয় প্রতি মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক ও বিধানসভার উপাধ্যক্ষ রাম প্রসাদ পাল। অযোধ্যায় উদ্বোধন হয় রাম মন্দিরের। আর তাই সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয় মহাযজ্ঞ। এদিন রাজধানীর কৃষ্ণনগর মেহের কালীবাড়িতে রামের পূজা ও যজ্ঞ হয়। সেখানে যজ্ঞে অংশ নেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক। নিয়ম মেনেই চলে যজ্ঞ।প্রতিমা ভৌমিক এদিন বলেন, একজন ভারতীয় এবং সনাতনী হিসেবে আনন্দিত। ৫০০ বছর পরে ভগবান রাম নিজের দিব্যমন্দিরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। তিনি বলেন, এতে আমরা আবেগতাড়িত, আপ্লুত, অভিভুত।
প্রভুর কাছে প্রার্থনা করেন আজকের অভুভুতি যাতে সব সময় থাকে। পরম বৈভব শালী রাষ্ট্র মোদীর নেতৃত্বে নির্মাণ করা যায় এবং ভারত যাতে পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্র হিসেবে তৈরি হবে। এদিকে এদিন যজ্ঞের আয়োজন করেন বিধানসভার উপাধ্যক্ষ রাম প্রসাদ পালের বিধানসভা কেন্দ্রে। এদিন সূর্যমনিনগর বিধানসভার অন্তর্গত ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক মন্ডলীর যৌথ উদ্যোগে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে মহাযজ্ঞ এবং শুভ যাত্রার আয়োজন করা হয়। বৈদিক মন্ত্র পাঠ করে যজ্ঞ করেন বিধায়ক রামপ্রসাদ পাল ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন রক্ষা কালী মন্দির প্রাঙ্গণে। পাশাপাশি এদিন যজ্ঞ শেষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায বের হয় অংশগ্রহণ করেন বিধায়ক রামপ্রসাদ পাল। এদিন তিনি বলেন, হিন্দুদের জন্য আজকের দিনটি সর্বশ্রেষ্ঠ দিন।রাম মন্দির উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে দেশে ব্যতিক্রম উৎসবের মহল তৈরি হয়েছে। প্ত্যেকের মনের মধ্যে রামের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়েছে।সারা বিশ্বকে জানান দিচ্ছে হিন্দু ধর্ম হচ্ছে শ্রেষ্ঠ ধর্ম সনাতন ধর্ম। এটা সবচেয়ে আদি কালের ধর্ম।শোভাযাত্রায় প্রচুর ছেলে- মেয়ে এলাকার অভিভাবকরা অংশ নেন। ভালো সাড়া পড়ে।