ত্রিপুরা আগরতলা : বর্ষার মরশুমে রাজ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর যোগানের যাতে কোন সমস্যা না হয় এবং মূল্য যাতে স্বাভাবিক থাকে তা নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক খাদ্য দপ্তরের। শুক্রবার মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক হয় খাদ্যমন্ত্রীর।এদিন রাজধানীর গুর্খাবস্তী খাদ্য ও ভোক্তা ভবনে হয় বৈঠক। রাজ্যে বর্ষা প্রবেশ করেছে এক সপ্তাহ আগেই ৩০ মে। এই মরশুমে প্রায় সময়ই সড়ক পথে যোগাযোগ ব্যাহত। বর্ষাকালীন মরশুমে রাজ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী,পেট্রোপণ্য, এলপিজি সিলিন্ডার সরবরাহ যাতে স্বাভাবিক থাকে সে বিষয়ে রাজ্যের খাদ্য ও জনসংভরণ দপ্তর আগাম উদ্যোগ নিয়েছে৷বর্ষাকালীন মরশুমে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে যান চলাচল ব্যাহত হলে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর মূল্য কোনওভাবেই যাতে স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি না পায় এবং অত্যাবশকীয় সামগ্রীর কালোবাজারি না হয় সে বিষয়ে খাদ্য দপ্তর সচেষ্ট হয়েছে৷এই বিষয়গুলো সামনে রেখে বর্ষাকালে রাজ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যের যেনো অভাব না ঘটে এবং কালোবাজারীর মাধ্যমে যাতে জিনিসের দাম না বাড়ে তার আগাম প্রস্তুতি হিসেবে এদিন বৈঠক হয়।বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী ছাড়াও দপ্তরের সচিব, অধিকর্তা, অন্যান্য যুগ্ম অধিকর্তা,উপ-অধিকর্তা,সদর,জিরানীয়া,বিশালগড়,মোহনপুর মহকুমার মহকুমা শাসক, সাব ডিভিশনাল কন্ট্রোলার (ফুড), অল ত্রিপুরা ডিস্ট্রিবিউটার্স অ্যাসোসিয়েশন, অল ত্রিপুরা মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের অধীন পেট্রোপণ্য ও এলপিজি সরবরাহ এর সঙ্গে যুক্ত আইওসিএল-আধিকারিক সহ বিভিন্ন বাজার কমিটির প্রতিনিধিরা।এদিন মন্ত্রী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, উত্তরপূর্ব ভারতে বর্ষার দরুন আসাম -আগরতলা জাতীয় সড়কে ও রেলপথে মালবাহী ট্রেন ও যানবাহন চলাচলে মাঝেমধ্যে ব্যাঘাত ঘটে। ফলে বাইরের রাজ্য থেকে আমদানি হাওয়া বিভিন্ন জিনিসপত্র গুলি রাজ্যে আসতে একটু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাই আগাম প্রস্তুতি হিসেবে রাজ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রির বাফার স্টক বানানো হয়েছে। বর্তমানে যতটুকু নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী বাজারের গোডাউনে মজুদ আছে তা দিয়ে আগামী বেশ কয়েকদিন চলে যাবে। ফলে ক্রেতাদের বাজারে গিয়ে কোনরকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না ক্রেতারা নির্দ্বিধায় নির্বিঘ্নে চাহিদা মত জিনিসপত্র ক্রয় করতে পারবেন বলে আশ্বাস দেন মন্ত্রী। তিনি কালোবাজারি ব্যবসায়ীদের প্রতি হুঁশিয়ারির সুরে বলেন তারা যেন সাধারণ মানুষের সাথে কোনরকম সমস্যার সৃষ্টি না করেন এবং সাধারণ মানুষরা যেন হয়রানির শিকার না হয়। খাদ্যমন্ত্রী এদিন কালোবাজারি ও মজুদদারদের প্রতি তীব্র হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন কোথাও কোনরূপ কৃত্রিম সংকট তৈরি করা যাবে না। নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে যাঁরাই যুক্ত থাকবেন তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে খাদ্য দপ্তর।