ত্রিপুরা আগরতলা: শান্তি-সম্প্রীতি ও সৌভ্রাতৃত্বের বার্তা ছড়িয়ে সারা দেশের সঙ্গে রাজ্যেও Figure 1 করা হয় ইদ- উল আযহা বা কুরবানি ইদ। রাজ্যে কেন্দ্রীয় ভাবে নামা আদায় হয় রাজধানীর শিবনগর গেদু মিয়ার মসজিদে। মুসলিম ধর্মাবল্মবিদের দুই বড় উৎসব হল ঈদ-উল ফিতর, আর অন্যটি ঈদ-উল আযহা, যাকে কোরবানীর ঈদও বলা হয়। সোমবার সারা বিশ্বের সঙ্গে ত্রিপুরায়ও পালন করা হয় ইদ উল আযহা।কোরবানি ঈদের দিনে বিত্তবান ব্যক্তিরা কোন কিছু কুরবানী দিয়ে থাকেন। এই কুরবানীর মূল উদ্দেশ্য দুঃস্থ মানুষদের কাছে এই মাংস তুলে দেওয়া। যাতে দুঃস্থরা খুশী থাকেন।প্রতি বছরের মতো এদিন রাজ্যের সমস্ত মসজিদে মসজিদে সকালে চলে নামাজ আদায়। মুসলিম ধর্মাবল্মবির লোকজন নতুন জামা কাপড় পরে মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করেন। একে অপরের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন আলিঙ্গন করে। আগরতলায় কেন্দ্রীয় ভাবে নামাজ আদায় হয় শিবনগর গেদু মিয়ার মসজিদে। সেখানে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে মুসলিম ধর্মাবল্মবির লোকজন নামাজ আদায় করেন শান্তি-সম্প্রীতি ও সৌভ্রাতৃত্বের বার্তা ছড়িয়ে।গেদুমিয়া মসজিদে নামাজ আদায় করান মৌলানা আব্দুল রহমান। নামাজ আদায় শেষে চলে শুভেচ্ছা বিনিময়। এদিন মৌলানা আব্দুল রহমান বলেন, এদিনে পশু কোরবান মূল উদ্দেশ্য নয়। মূলত নিজের মনের সকল বিপরীত কার্যকলাপকে কোরবান করার প্রশিক্ষণ হচ্ছে এই কোরবানি ঈদ।তিনি আরও বলেন, কোরবানির ঈদ মানে ত্যাগের উৎসব। এই ত্যাগের উৎসবে রাজ্যবাসিকে শুভেচ্ছা জানান তিনি। তিনি আরও জানান প্রায় ৫ হাজার বছর পূর্বে হজরতে ইব্রাহিম আলি ইসলামকে আল্লাহ্-র পক্ষ থেকে ওনার একমাত্র সন্তান হজরতে ইসমাইল আলি ইসলামকে আল্লাহ্-র রাস্তায় কোরবান করার নির্দেশ হয়। এই নির্দেশ পালনে তিনি রাজি হন। এইটা একটা পরীক্ষা ছিল। ওনার সন্তানের পরিবর্তে আল্লাহ্-র পক্ষ থেকে একটি দুম্বা আসে। এই দুম্বা আল্লাহ্-র রাস্তায় কোরবানি হয়।এদিনে মুসলিম ধর্মাবল্মবীর লোকজন উৎসবের আনন্দে মেতে উঠেন।
রাজধানীতে কেন্দ্রীয় ভাবে নামাজ আদায় গেদু মিয়ার মসজিদে
100
previous post