কলকাতা : কিছু কিছু হরমোনের মাত্রা নারী ও পুরুষদের দেহে ভিন্ন। শুধু শরীর নয়, স্ত্রী হরমোনের ভারসাম্য বিগড়ে গেলে ভাল থাকে না মনও। সমস্যা খুব বেড়ে গেলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া ছাড়া গতি নেই। অল্প থাকলে, স্ত্রী হরমোনের ভারসাম্যের সমস্যায় নিয়মমাফিক খাওয়াদাওয়া কিংবা জীবনযাত্রার পরিবর্তনে মিলতে পারে উপকার।
১। অল্প পরিমাণ স্নেহ পদার্থ থাকুক খাদ্যতালিকার শুরুতেই। সকালের খাবারের সঙ্গে নিয়মিত খেতে পারেন ঘি, নারকেল তেল কিংবা অর্গ্যানিক বাটার। বিশেষ করে যাঁরা সকালে ফল খেতে পারেন না, তাঁদের ক্ষেত্রে এই টোটকা কমাতে পারে হরমোনের ভারসাম্য বিগড়ে যাওয়ার সমস্যা।
২। ঋতুচক্রের প্রথমার্ধে নারীদেহে ইস্ট্রোজেন ও দ্বিতীয়ার্ধে প্রজেস্টেরনের ক্ষরণ বাড়ে। ঋতুচক্রের প্রথম অর্ধে তিসি ও কুমড়োর বীজ এবং দ্বিতীয় অর্ধে খেতে পারেন সূর্যমুখী বীজ ও তিল। এতে দুই হরমোনই নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৩। পেট ভাল না থাকলে পুষ্টির সমস্যা হতে পারে। আর পুষ্টির সমস্যা থাকলে যা-ই খান না কেন, শরীরের উন্নতি হওয়ার আশা কম। পেট ভাল না থাকলে তার প্রভাব পড়ে হরমোনের ভারসাম্যের উপরেও। কাজেই তেল-মশলার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার দিকে নজর দেওয়াই বাঞ্ছনীয়।
৪। অনেকেই এখন শরীর ভাল রাখতে বিভিন্ন ধরনের সাপ্লিমেন্ট খান। বিশেষ করে হরমোনের সমস্যায় ওমেগা-৩ সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার চল এখন অনেকটাই বেড়েছে। এই ধরনের সাপ্লিমেন্ট খেলে ইপিএ ও ডিএইচএ-এর মতো উপাদানগুলির মাত্রা কতটা হওয়া উচিত, তা জেনে নিতে হবে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে।
৫। মনের অবস্থার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িত হরমোন। দীর্ঘস্থায়ী মানসিক অবসাদ যৌন হরমোনের ভারসাম্য বিগড়ে দেয়। অনেক সময় মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হলে দেখা দেয় ঘুমের সমস্যা। এতে শুধু স্ত্রী হরমোন নয়, দেখা দিতে পারে অন্যান্য হরমোনের সমস্যাও। তাই মন কেমনের দিকেও নজর রাখা খু
ব জরুরি।