রাজধানীতে শিশুদের মারধরের ঘটনায় প্রতিবাদ করে এবার আক্রান্ত অভিভাবকরা

আগরতলা : মায়ের গমন অনুষ্ঠানে রাস্তায় শিশুদের মারধরের ঘটনায় যারা প্রতিবাদ করেছিলেন এবার তাদের বাড়ি ঘরে হামলা চালাল দুষ্কৃতিরা। তাও খোদ পশ্চিম থানার নাকের ডগায়।ঘটনা জানিয়ে পশ্চিম থানায় ফের মামলা করলেন আক্রান্তরা। অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে হতে হবে আক্রান্ত। কারন রাজ্যে সুশাসন নয় তথাকথিত সুশাসন চলছে। সোমবার রাতে মায়ের গমন কার্নিভ্যালে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন ক্লাবের বাউন্সারদের আক্রমণে আহত হয় তিন শিশু। এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয় আহত শিশুদের অভিভাবক সহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাধারন মানুষ। সকলে মিলে পশ্চিম থানার নাকের ডগায় সড়ক অবরোধ করে। পরে সদর মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের আশ্বাসে সড়ক অবরোধ মুক্ত হয়। পুলিশ এক প্রকার বাধ্য হয়ে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন ক্লাবের বাউন্সারকে গ্রেপ্তার করে রাতেই থানায় নিয়ে যায়। পরে আক্রান্ত শিশুদের পরিবারের পক্ষ থেকে গভীর রাতে পশ্চিম থানায় মামলা দায়ের করা হয়। সেই সময়ই একদল স্বঘোষিত মাফিয়া পশ্চিম থানার সামনে গিয়ে হম্বিতম্বি দেখায়। ভয়ভীতি প্রদর্শনের চেষ্টা করে আক্রান্ত শিশুদের পরিবারের লোকজনদের। আক্রান্ত শিশুদের হয়ে প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন বড়দোয়ালি বিধানসভা কেন্দ্রের শাসক দলের বুথ সভাপতি কিংকর সাহা। সোমবার রাতের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দুপুর থেকে বড়দোয়ালি বিধানসভা কেন্দ্রে স্বঘোষিত মাফিয়ারা তাণ্ডব লিলা শুরু করে। সোমবার রাতে যে শিশুরা আক্রান্ত হয়েছে এক এক করে তাদের বাড়ি ঘরে হামলা চালায়। মারধর করা হয় তাদের অভিভাবকদের। রেহাই পান নি শাসক দলের বুথ সভাপতি কিংকর সাহাও। কিংকর সাহা জানান স্বঘোষিত মাফিয়ারা প্রথমে ওনার হোটেলে যায়। হোটেলের চেয়ার টেবিল ভাংচুর করে। তারপর তারা ওনার বাড়িতে যান। বাড়ির সামনে গিয়ে ডাকার পর তিনি সহ পরিবারের লোকজন বেরিয়ে আসেন। বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর স্বঘোষিত মাফিয়ারা ওনাকে মারধর শুরু করে। এমনকি ওনার বৃদ্ধ মা ও বৌদিকেও মারতে উদ্যত হয়। স্বঘোষিত মাফিয়াদের মধ্যে রয়েছে বিজয়, দ্বিপ, অর্জুন, কৃষ্ণ, তনুজ, কানাই সহ অন্যান্যরা। ঘটনা জানিয়ে পশ্চিম থানায় মামলা করা হয় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্রে বিজেপির বুথ সভাপতি।

Related posts

কেন্দ্রীয় বাজেটের প্রতিবাদ জানাল আমরা বাঙালী

চুরি যাওয়া সামগ্রী সহ দুই চোরকে জালে তুলল পুলিস

বিদ্যাদেবী সরস্বতীর আরাধনায় ব্রতী হয়েছেন সকলে