আগরতলা : রাজধানীতে ফের এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য।অভিযোগ উঠেছে শুভাগত চক্রবর্তীকে খুন করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে পুলিস। রাজধানীর যোগেন্দ্রনগর রেন্টার্স কলোনি এলাকার বাসিন্দা শুভাগত চক্রবর্তী ওরফে অভিজিৎ-এর। আয়ুর্বেদিক কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। পাশাপাশি সে রাজধানীর আখাউড়া রোডস্থিত রতন কুমার চৌধুরীর সাথে ঠিকেদারি কাজের সাথে যুক্ত। রবিবার সাতসকালে রতন কুমার চৌধুরীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় শুভাগত চক্রবর্তীর ঝুলন্ত মৃতদেহ। শুভাগত চক্রবর্তীর মৃতদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে তাঁর সহকর্মী সহ পরিবারের লোকজন রতন কুমার চৌধুরীর বাড়িতে ছুটে যায়। শুভাগত চক্রবর্তীর এক সহকর্মী জানান তিনি দীর্ঘ ১৭ থেকে ১৮ বছর ধরে শুভাগত চক্রবর্তীর সাথে পরিচিত। শুভাগত চক্রবর্তী একজন ভালো মানুষ ছিলেন। শনিবার দুপুর থেকে তিনি বহুবার শুভাগত চক্রবর্তীর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু শুভাগত চক্রবর্তীর মোবাইল অপর এক যুবক রিসিভ করে বারে বারে এবং জানায় যে শুভাগত চক্রবর্তী ব্যাঙ্কে লেনদেন করছে ব্যস্ত রয়েছে। সর্বশেষ রাতের বেলায় শুভাগত চক্রবর্তীর সাথে তিনি যোগাযোগ করতে পারেন। তিনি অভিযোগ করেন শুভাগত চক্রবর্তীকে হত্যা করা হয়েছে। আর্থিক লেনদেনকে কেন্দ্র করে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।
এদিকে বাড়ির মালিক রতন কুমার চৌধুরীর স্ত্রী জানান মৃত শুভাগত চক্রবর্তীর নিকট রতন কুমার চৌধুরী প্রায় ৮৭ লক্ষ টাকা পাওনা রয়েছে। শুভাগত চক্রবর্তী জানিয়েছে মোহনপুরে তাঁর জায়গা রয়েছে, সেই জায়গা বিক্রয় করে রতন কুমার চৌধুরীর টাকা মিটিয়ে দেবে। শনিবার শুভাগত চক্রবর্তী ও রতন কুমার চৌধুরী মোহনপুরে গিয়ে জায়গা দেখে এসেছে। তারপর তারা বাড়িতে আসে। রাতের বেলায় রতন কুমার চৌধুরীর বাড়িতে খাবার খেয়ে তাদের বাড়িতে ঘুমিয়ে পরে শুভাগত চক্রবর্তী। রবিবার সকালে তিনি শুভাগত চক্রবর্তীকে চা দিতে গিয়ে দেখেন শুভাগত চক্রবর্তী ঘরের দরজা খুলছে না। তারপর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়। মৃত শুভাগত চক্রবর্তীর পরিবারের লোকজনদের অভিযোগ মূলে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়ির মালিক রতন কুমার চৌধুরীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। দাবি উঠেছে পুলিসি তদন্তে দোষীদের কঠোর শাস্তির।