আগরতলা : রাজ্যে মাছের যে ঘাটতি রয়েছে তা যাতে পূরণ করা যায় সেজন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।জলাশয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেই মাছের উৎপাদন বাড়বে। তাছাড়া মুখ্যমন্ত্রী মৎস্য বিকাশ যোজনায় মৎস্যচাষিদের নতুন পুকুর খননের জন্য টাকা দেওয়া হচ্ছে।রাজ্য ভিত্তিক মৎস্য উৎসবের উদ্বোধন করে একথা বললেন দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাস।রাজ্যের তৃতীয় বারের মতো মৎস্য উৎসব হচ্ছে। শুক্রবার দুই দিন ব্যাপী রাজ্য ভিত্তিক উৎসবের সূচনা হয়। এবছরই প্রথম রাজ্যে জেলা ভিত্তিক উৎসব হয়েছে। জেলা ভিত্তিক শেষে এদিন রাজধানীর পূর্বাশা প্রাঙ্গণে রাজ্য ভিত্তিক মৎস্য উৎসবের উদ্বোধন হয়। দুইদিন ব্যাপী উৎসব চলবে শনিবার পর্যন্ত। এদিন অনুষ্ঠানে কয়েকজন মৎস্যচাষিকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। উৎসবে বিভিন্ন জায়গা থেকে মৎস্য চাষিরা মাছ নিয়ে উৎসবে অংশ নেন। উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাস, বিধায়িকা মিনা রানী দাস, মৎস্য দপ্তরের অধিকর্তা, স্থানীয় কর্পোরেটর সহ অন্যরা। আলোচনা করতে গিয়ে মন্ত্রী এদিন বলেন, রাজ্যে বর্তমানে মাছের উৎপাদন প্রায় ৮৫ হাজার মেট্রিকটন। কিন্তু বছরে রাজ্যে মাছের চাহিদা প্রায় ১ লাখ ১৭ হাজার মেট্রিকটনের মতো। স্বাভাবিক ভাবেই ঘাটতি রয়েছে ৩২ হাজার মেট্রিকটনের মতো। এই ঘাটতি পূরণ হয় বাংলাদেশ, পশ্চিমবাংলা, অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে আসা মাছে। এর মাধ্যমে রাজ্যের চাহিদা পূরণ হয়। তিনি বলেন রাজ্যে শতকরা ৯১ শতাংশ মানুষ মাছ খায়। রাজ্যে মাছের চাহিদা অনেক বেশি দেশের অন্য রাজ্যের তুলনায়।
জলাশয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেই মাছের উৎপাদন বাড়বে—মৎস্যমন্ত্রী
22
previous post