আগরতলা : রাজ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে খুব খুব কম সময়ের মধ্যে আমূল পরিবর্তন এসেছে। এই পরিবর্তন মানুষ উপলব্ধি করতে পারছেন। এখন রাজ্যেই মানুষ উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবার সুযোগ নিতে পারছেন।
রবিবার আগরতলার টি বি অ্যাসোসিয়েশন হলে ত্রিপুরা রিটায়ার্ড ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের ২০তম বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।
সম্মেলনের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসকরা জীবনের শেষদিন পর্যন্ত মানুষ ও সমাজের স্বার্থে কাজ চালিয়ে যেতে সক্ষম। মানুষের স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান ও সমাজের কল্যাণে চিকিৎসকদের দায়বদ্ধতা বিরামহীন। তাই চিকিৎসকদের মর্যাদা মানুষের কাছে অনেক উর্দ্ধে। রাজ্যে উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবার ভিত তৈরি করার ক্ষেত্রে চিকিৎসকদেরও অনেক অবদান রয়েছে। করোনা পরিস্থিতি ও গত আগস্ট মাসের ভয়াবহ বন্যায় মানুষের কল্যাণে রাজ্যের চিকিৎসকরা সেবামূলক মানসিকতা নিয়ে যেভাবে এগিয়ে এসেছেন তা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। চিকিৎসকদের এই সেবার মানসিকতা আগামীদিনেও অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে যে উন্নয়ন এসেছে সেটা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, রাজ্যে ডেন্টাল কলেজ স্থাপন এজিএমসিতে সুপার স্পেশালিটি পরিষেবা, জিবিপি হাসপাতালে মাদার অ্যান্ড চাইল্ড কেয়ার ইউনিট, বিভিন্ন জেলায় ট্রমা সেন্টার চালু স্বাস্থ্য পরিষেবায় নতুন মাত্রা এনেছে। এইডস রোগ প্রতিরোধে সচেতনতার উপর গুরুত্ব আরোপ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এক্ষেত্রে চিকিৎসকদেরও অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী ত্রিপুরা রিটায়ার্ড ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের ২০তম বার্ষিক সম্মেলনের সাফল্য কামনা করেন।
সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পদ্মশ্রী প্রফেসর ড. অরুণোদয় সাহা, ডা. বিকাশ রায়, ডা. দেবাশিষ নাথ, ডা. এন সি পোদ্দার প্রমুখ। অনুষ্ঠানে রাজ্যের প্রবীণ চিকিৎসক ডা. জীবন চক্রবর্তী ও ডা. চিরঞ্জিত দেববর্মাকে অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়।
মুখ্যমন্ত্রী তাদের হাতে স্মারক উপহার তুলে দেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী সম্মেলন উপলক্ষে একটি স্মরণিকার আবরণ উন্মোচন করেন।