আগরতলা : তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত শারদ সম্মান-২০২৫ প্রদান করা হয় শনিবার। রাজধানীর রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে এক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে নির্বাচিত ক্লাব ও পূজা উদ্যোক্তাদের এই সম্মান প্রদান করা হয়। প্রদিপ প্রজ্জলন করে এইদিনের অনুষ্ঠানের সুচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। অনুষ্ঠানে আলোচনা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এইদিন বলেন সংহতি ক্লাব এই বছর দুর্গা পূজার সময় ৭ টি রাজ্য থেকে ৭ টি নৃত্য দল নিয়ে এসেছে। এতে সংস্কৃতির আদান প্রদান হয়। মুখ্যমন্ত্রী এইদিন রাজ্য থেকে শিল্পীদের বহিঃরাজ্যে প্রেরন করার উপর জোর দেন। জাতি জনজাতি সকল অংশের মানুষের বসবাস ত্রিপুরা রাজ্যে। রাজ্যে মিশ্র সংস্কৃতি দেখা যায়। ত্রিপুরা রাজ্যে দুর্গা পূজার চেয়ে বড় আর কোন পূজা হয় না। রাজ্যে ক্লাব গুলি দায়বদ্ধতা অনেক। রাজনীতি রাজনীতির জায়গায়। ক্লাব গুলি আগের সংস্কৃতি থেকে ৭০ শতাংশ বেরিয়ে এসেছে। ৭০ শতাংশ হলে চলবে না ক্লাব গুলিকে আগের সংস্কৃতি থেকে ১০০ শতাংশ বেরিয়ে আসতে হবে। ক্লাবের সামাজিক দায়বদ্ধতা হল নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করা। নিরপেক্ষ ভাবে কাজ না করলে তবেই সমস্যা দেখা দেয়। নিরপেক্ষ থাকা অনেক কঠিন। তার পরও নিরপেক্ষ থাকতে হবে। ক্লাব এলাকায় নেশা বাণিজ্যের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে ক্লাব গুলিকে। ভোকাল ফর লোকালের প্রসঙ্গ তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী এইদিন রাজ্যের মৃৎ শিল্পী, মণ্ডপ সজ্জা ও আলোক সজ্জার সাথে যুক্ত শিল্পীদের গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেন। এতে করে রাজ্যের টাকা রাজ্যে থাকবে। তিনি আরও বলেন রাজ্যের যে সকল শিল্পীরা পূজা মণ্ডপ কিংবা মূর্তি তৈরি করে তাদেরকে নিয়ে কর্মশালার আয়োজন করতে পারলে ভালো হয়। এতে করে রাজ্যে শিল্পীদের দক্ষতা আরও বৃদ্ধি পাবে। এইদিনের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা, আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দিপক মজুমদার, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব পি.কে চক্রবর্তী, অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য সহ অন্যান্যরা।
রাজ্যের মৃৎ শিল্পী, মণ্ডপ সজ্জা ও আলোক সজ্জার সাথে যুক্ত শিল্পীদের নিয়ে কর্মশালা করার উপর গুরুত্ব দেন মুখ্যমন্ত্রী
19