আগরতলা : মোদি সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিল সংযুক্ত কিষান মোর্চা ও কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলো।মোদি সরকারের স্বৈরতান্ত্রিক জনবিরোধী ও শ্রমিক বিরোধী নীতির তীব্র বিরোধিতা করে ১৬ ফেব্রুয়ারি ২২ দফা দাবি নিয়ে সারা ভারতে গ্রামীণ ও শিল্প ধর্মঘট আহ্বান জানিয়েছে সংযুক্ত কিষান মোর্চা ও কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলো।সাথে বিভিন্ন কর্মচারী ফেডারেশনগুলো-ছাত্র ও যুবরা থাকবে। সোমবার সারা ভারত কৃষক সভার ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির অফিসে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই ঘোষণা দিয়েছে সংযুক্ত কিষান মোর্চা ও কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নের নেতৃত্ব।সাংবাদিক সম্মেলনে সংযুক্ত কিষান মোর্চা ত্রিপুরার আহ্বায়ক পবিত্র কর বলেন,ত্রিপুরার ২৩ টি মহকুমাতেই এই ধর্মঘট হবে।যার প্রচার ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে।প্রত্যেকটি বাড়ীতে প্রচারপত্র বিলি করা হবে বলে পবিত্র কর জানান। ঐদিন দেশজুড়ে রেলরোকো ,রাস্তা রোকো,জেল ভরো, গ্রাম ভারত বন্ধের কর্মসূচী ব্যাপকভাবে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন,এই লড়াই ২৬ জানুয়ারি সংযুক্ত কিষান মোর্চা ৩৭ হাজার ট্রাকটার,-৮৫ হাজার দু চাকার যান নামিয়ে দেখিয়েছে। কেন্দ্রের জন বিরোধী নীতিকে প্রতিহত করে দেশের শ্রমিক কৃষক ও সাধারণ মানুষের স্বার্থবাহী নীতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই আন্দোলন হবে বলে তিনি জানান।সাংবাদিক সম্মেলনে সিআইটিইউ রাজ্যে কমিটির সভাপতি মানিক দে বলেন শ্রমিকরা শখে বন্ধ করে না। বাধ্য হয়েই এই রাস্তায় যান।উন্নয়নের কথা বলে যে সরকার সেই দেশের ৮০ কোটি মানুষ খাদ্য যোগার করতে পারে না।রেগাতে ৬০ হাজার কোটি টাকা ছাঁটাই করে শ্রমিকদের গলা টিপে ধরেছে এই সরকার।তিনি বলেন মজুরি কমেছে জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া।”হিট এন্ড রান’ আইন এনে মোটর শ্রমিকদের কোনঠাসা করা হচ্ছে এতে পরিবহন ব্যবস্থাই আক্রান্ত হয়ে গেছে। তিনি বলেন এবার এই সংকট বুঝতে পেরে শ্রমিকদের পাশে পরিবহন মালিকরাও সামিল হচ্ছেন। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রাসবিহারী ঘোষ,শ্যামল দে,রঘুনাথ সরকার ও জয়গোবিনদ দেবরায়।তাদের দাবির মধ্যে রয়েছেবিদ্যুৎ বেসরকারী বিল বাতিল,৪ শ্রমকোড আইন বাতিল, সরকারী বেসরকারী সমস্থ কৃষি ঋন মুকুব,কাজের অধিকারকে মৌলিক অধিকার দেওয়া।
২২ দফা দাবি নিয়ে সারা ভারতে গ্রামীণ ও শিল্প ধর্মঘট
155
previous post