আগরতলা : ত্রিপুরা রাজ্যের উন্নয়নের লক্ষ্যে যারা কাজ করেছেন তাদের স্বীকৃতি দেওয়াই এই সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। রাজ্যের সবগুলি সমস্ত জেলায় যুব আবাস স্থাপন করবে বর্তমান সরকার। যাতে আরামদায়কভাবে থাকার জন্য রাজ্য বা বাইরের খেলোয়াড়রা কোনও সমস্যার মুখোমুখি না হয়।
রবিবার ধলাই জেলার আমবাসায় ২০০ শয্যা বিশিষ্ট ‘মধুসুধন সাহা যুব আবাস’ এর উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ৭০ এর দশকের গোড়ার দিকে এনএসআরসিসিতে অনুশীলনের সময় প্রখ্যাত জিমন্যাস্ট প্রয়াত মধুসূধন সাহার সান্নিধ্য লাভের সৌভাগ্য হয় আমার। তিনি ত্রিপুরার হয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন এবং রাজ্যকে অনেক পুরস্কার এনে দিয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর আমি যখন তার পরিবারের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম, সেই সময় তাদের আশ্বস্ত করেছিলাম যে রাজ্য সরকার একদিন তাকে যথাযথ সম্মান দেবে। আজ খুবই আনন্দের দিন। আমাদের বর্তমান সরকারের লক্ষ্য তাদের সম্মান প্রদর্শন করা যারা ত্রিপুরার জন্য যথার্থ কাজ করেছেন। যাদের অনেকেই এখন আর আমাদের সাথে নেই। আমি এই শুভ উদ্যোগের জন্য যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা অতীতে খেলোয়ারদের মুখোমুখি হওয়া বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সেই সময় স্পোর্টস মিটে খেলতে আসা প্রতিযোগীদের স্কুলে থাকতে হত। তাই এই সরকার চায় না যে ভবিষ্যতের খেলোয়াড়রা যাতে এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন না হয়। এজন্য আমাদের সরকার নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। খেলোয়ারদের সুবিধা নিশ্চিত করতে সরকার প্রতিটি জেলায় যুব আবাস গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। সারা রাজ্যেই এই ধরনের আবাস স্থাপনের লক্ষ্য রাখা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দিশা অনুসরণ করে ত্রিপুরা সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। আমাদের নিজেকে জানতে হবে, বুঝতে হবে। প্রধানমন্ত্রীও যোগাসন করার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রী টিংকু রায়, যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের সচিব পি.কে. চক্রবর্তী, প্রাক্তন বিধায়ক এবং বিএসি চেয়ারম্যান পরিমল দেববর্মা সহ অন্যান্য অতিথিগণ।