আগরতলা : লোকসভার পূর্ব ত্রিপুরা আসনের বিজেপি প্রার্থী কৃতিদেবীর নাম ও শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।রবিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে তথ্য প্রকাশ করে ইন্ডিয়া জোটের ত্রিপুরা চ্যাপ্টারের অন্যতম আহ্বায়ক বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ বলেন সমস্ত তথ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানানো হয়েছে বিষয়টি জনসমক্ষে প্রকাশ করার।তিনি অভিযোগ করেন, পূর্ব আসনের বিজেপি প্রার্থীর নাম থেকে শুরু করে সমস্ত হলফনামায় ব্যাপক গড়মিল রয়েছে।সুদীপবাবু বলেন এই প্রার্থী ২০১৮ সালে ছত্তিশগড়ের এক নির্বাচনে লড়েছিলেন সেখানে তাঁর হলফনামা অনুসারে তাঁর নাম কৃতি দেবী সিং ।তিনি ত্রিপুরায় কৃতি দেববর্মন বলে যে হলফনামা জমা দিয়েছিলেন তা পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে ঘোষণা দেওয়া বাধ্যতামূলক। সেটা করা হয়নি বলে অভিযোগ। সেই সাথে তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতার যে তথ্য দেওয়া হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে ২০১৮ সালের হলফনামায় ১৯৯২ সালে লোরেটো কনভেন্ট দশম শ্রেণীর ছাত্রী।আর এ বছরের হলফনামা বলছেন ১৯৯০ সালে একই স্কুলে এইচ এস এল পড়তেন। সুদীপ বাবু বলেন কিভাবে একজন পরিবর্তিত পদবি আবার পরিবর্তন করলেন কেন উপজাতিদের পদবি ত্যাগ করে আবার উপজাতি পদবিতে ফেরত এলেন এবং একই মানুষের এক এক নির্বাচনে ব্যালট পেপারে এক এক ধরনের নাম কি করে থাকে সেটা নির্বাচন কমিশনকে প্রকাশ্যে জানানোর দাবি জানান। সাংবাদিক সম্মেলনে অন্য আহ্বায়ক বিরোধী দল নেতা জিতেন চৌধুরী রাজ্যের কৃষিমন্ত্রীর মন্তব্য টেনে এনে বলেন মন্ত্রী বলেছেন জুন মাসে ভোটের ফল প্রকাশের পর জিতেন চৌধুরী বিরোধী দলনেতা থাকবেন না আর কংগ্রেসের সদস্য সংখ্যা দুজন কমে যাবে। তিনি প্রশ্ন তোলেন মন্ত্রী ব্যাখ্যা করে বলুন এই ক্ষেত্রে ইলেকটরাল বন্ডের টাকা ব্যবহার হবে নাকি অন্য প্রক্রিয়া ব্যবহার হবে?
প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর রোড শোতে শামিল হবে ইন্ডিয়া জোট
92
previous post