আগরতলা : ণ্টার আগরতলা সফরে ঝড় তুলে দিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।ফিরে গেলেন মানুষের প্রাণভরা ভালোবাসা নিয়ে। দেশের জন্য দেশকে রক্ষা করতে মূল্যবান ভোট ইন্ডিয়া মঞ্চের প্রার্থীদের পক্ষে প্রদান করুন।মঙ্গলবার দুঘণ্টার জন্য আগরতলায় ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থীদের নিয়ে এক রোড শো-তে অংশ নিয়ে এই কথা বলেন জাতীয় কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদিকা প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা।এই প্রথমবারের মতো ত্রিপুরা সফরে এসে বেশ সাড়া ফেলেছেন তিনি।এম বি বি বিমানবন্দরে আসার পরে তাঁকে স্বাগত জানান ইন্ডিয়া জোটের পক্ষে বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী , প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও প্রার্থী আশিস সাহা,বিধায়কে সুদীপ রায় বর্মণ , গোপাল রায়, রামু দাস, বীরজিত সিনহা, প্রদেশ কংগ্রেসের ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব জারিতা লাইটফ্লাং, সিপিআইএমের রামনগর উপভোটের প্রার্থী রতন দাস, প্রণব দেববর্মা সহ কংগ্রেসের শাখা সংগঠনের সমস্ত নেতৃত্ব। লাউঞ্জে কয়েক মিনিট কাটিয়েই তিনি বেরিয়ে পড়েন। বিশাল কনভয় তাঁকে নিয়ে চলে আসে সার্কিট হাউসের সামনে। সেখানে সুসজ্জিত একটি বাসে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে ওঠানো হয়।
সেখান থেকে শহরের পথে কাতারে কাতারে মানুষ তাঁকে স্বাগত জানান। দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থার জন্য সমস্ত পথে এই রোড শো পদে পদে বাধা প্রাপ্ত হয়েছে। ধীরে ধীরে ধীরে রোড শো সূর্য চৌমুহনী রোডে পৌঁছানোর পর সমস্ত ট্রাফিক ব্যবস্থার অস্তিত্ব উবে যায়। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সাথে বিশেষ নিরাপত্তা রক্ষীরা পরিস্থিতি সামলে নেন।সেখানে গাড়িতে দাঁড়িয়ে আলোচনা করতে গিয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেন নির্ভয়ে নিজের নিজের ভোট নিজের অভিজ্ঞতা থেকে দিন। বর্তমানে যে সরকার দেশ চালাচ্ছে তারা ভাঙতে জানে বিক্রি করতে পারে।ওরা দেশের বেকারদের কর্মসংস্থান নিয়ে ভাবে না ।এশিয়ার সর্বাধিক বেকার সৃষ্টি করার কৃতিত্ব বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর।প্রধানমন্ত্রী কৃষকদের উন্নয়ন চান না।তিনি বলেন দেশের নারীরা লাগামহীন লাঞ্ছনার শিকার অথচ প্রধানমন্ত্রী চুপ থাকেন।সবকিছু মনে রেখে ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থীদের বিপুল ভোটে বিজয়ী করতে আহ্বান জানান।এরপর রোড শো পোস্ট অফিস চৌমুহনি পৌঁছানোর পর ভীড়ের চাপে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে নিয়ে বাস আর এগিয়ে যেতে পারেনি। সেখান থেকে তাঁকে নামিয়ে এনে খোলা জিপে তুলে রোড শো শেষ করা হয়।এরপর ইন্ডিয়া মঞ্চের সমস্ত নেতৃত্ব বীর বিক্রম বিমানবন্দরে উপস্থিত হয়ে প্রিয়াঙ্কাকে বিদায় জানান।