আগরতলা : ত্রিপুরার প্রলয়ঙ্করী বন্যা পরিস্থিতিকে জাতীয় বিপর্যয় বলে ঘোষণা করার জোরালো দাবি জানালেন সাংসদ অমরা রাম। দুদিনের রাজ্যের বন্যা পিড়িতদের কাছে গিয়ে তাদের পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় এই দাবি জানিয়ে তিনি বলেন আমি অবাক হয়েছি রাজ্য সরকার এই দাবি জানায়নি দেখে। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সাথে কথা বলার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ব্যস্ততার জন্য সেটা না হলেও তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে এই দাবি জানানোর জন্যে চিঠি দেবেনবলে জানান।অমরা রাম সারা ভারত কৃষক সভার কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতিও। সাথে এসেছেন কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থ সচিব পি কৃষ্ণপ্রসাদ। তিনি বলেন সরকারকে অতিসত্বর সমস্ত বিষয়ে আনুসঙ্গিক অনুসন্ধান করে কৃষকদের সহায়তা করতে হবে। তিনি বলেন যা দেখলাম তাতে কৃষকদের অবস্থা ভয়াবহ। ইতিমধ্যে কৃষক সভার কেন্দ্রীয় কমিটি এই বন্যায় যারা মারা গেছেন তাদের প্রতি পরিবারের জন্য এককোটি টাকা করে সাহায্যের দাবি করেছেন।একই সঙ্গে বিভিন্ন জায়গা থেকে ঋন নিয়ে তারা ফসল ফলিয়েছিলেন যা পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গিয়েছে সেই ঋন পুরোপুরি মকুব করার দাবি জানান পি কৃষ্ণপ্রসাদ। একই সাথে তিনি কৃষকদের চাষ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য সুদ হীন ব্যাঙ্ক ঋনেরও দাবি জানান।এক প্রশ্নের উত্তরে সাংসদ অমরা রাম জানান যে পরিস্থিতি দেখলাম তাতে মানুষের বাঁচার রাস্তাই বন্ধ হয়ে গেছে প্রধানমন্ত্রীকে সমস্ত বিষয় জানাবেন এবং লিখিতভাবেও বিষয়টি জানাবেন। তিনি বলেন ত্রিপুরার বিষয় পার্লামেন্টেও তুলবেন। কৃষক সভার কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম যুগ্ম সম্পাদক পবিত্র কর বলেন যে তাঁরা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ সোনামুড়ার ইন্দিরা নগর,বেজিমারা,নলছড়, বিলোনিয়ার বনকর আমজাদ নগর, ভয়ঙ্কর ক্ষতিগ্রস্ত মুহুরীপুরের যে বিভৎসতা দেখেছি তাতে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা করতেই হবে। তিনি বলেন তাহলেই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা ফান্ড থেকে সাহায্য সহজ হবে ও তাড়াতাড়ি হবে। তিনি বলেন এই সমস্ত বিষয়ে কৃষক সভা রাজ্য সরকারের পাশে থেকে এই দুর্যোগ মোকাবেলায় সর্বোত সাহায্য করতে প্রস্তুত। এরমধ্যেই রাজ্য কৃষক সভা মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করে সমস্ত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবে বলে পবিত্র কর জানান। আজকের সফরে দলের সঙ্গে উল্লেখিত তিনজন ছাড়াও রাজ্য কৃষক সভার সহ সম্পাদক রতন দাস ছিলেন। ছিলেন বিভিন্ন জেলায় জেলা নেতৃবৃন্দ।
রাজ্যের বিভিন্ন বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন কৃষক সভার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের
73
previous post