আগরতলা : আজ শিলংয়ে উত্তর পূর্বাঞ্চল পর্ষদের ৭১তম প্ল্যানারি অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা ত্রিপুরার জন্য এনইসি ফান্ডের অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধি করার অনুরোধ জানিয়েছেন। অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজকে এইমসের মতো প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা দিতে, ত্রিপুরা উপজাতি এলাকা স্বশাসিত জেলা পরিষদ এলাকায় মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন, শিল্পক্ষেত্রের জন্য প্রাকৃতিক গ্যাসের বরাদ্দ বৃদ্ধি, আগরতলা-কক্সবাজারের মধ্যে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চালু, বিদেশি আর্থিক সহায়তায় রূপায়িত প্রকল্পগুলির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আর্থিক সহায়তার পরিমাণ তুলে দিতে ও বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্যিক লেনদেনে বিভিন্ন বিধিনিষেধ তুলে দিতে অনুরোধ জানিয়েছেন। প্ল্যানারি অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন উত্তর পূর্বাঞ্চলের ৮টি রাজ্যের রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রীগণ, উত্তর পূর্বাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রী (ডোনার) জি কিষাণ রেড্ডি, ডোনারের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বি এল বর্মা এবং সংশ্লিষ্ট উচ্চপদস্থ আধিকারিকগণ। অধিবেশনে উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন সুবিধা ও সমস্যা, এনইসি, ডোনার ও ভারত সরকারের পক্ষ থেকে নীতিগত করণীয় ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়।
অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রী ত্রিপুরা রাজ্যের উন্নয়নে বিশেষ নজর দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ধন্যবাদ জানান। অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা বলেন, ত্রিপুরাতে নর্থ ইস্টার্ন স্পেস অ্যাপ্লিকেশনস সেন্টার (এনইএসএসি) কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী ২১টি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। ত্রিপুরা স্পেস অ্যাপ্লিকেশনসের সহায়তায় তার মধ্যে ৮টি প্রকল্প ইতিমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে। এই ৮টি প্রকল্পের মধ্যে বনাধিকার আইনের অন্তর্গত জমির সমীক্ষার সুবিধার্থে মোবাইল অ্যাপ ও ড্যাশবোর্ড চালু করা, বন্যা ও বজ্রপাত সম্পর্কে আগাম সতর্কতা জারি, সংরক্ষিত বন এলাকায় ফাঁকা এলাকা চিহ্নিতকরণ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এ সমস্ত কর্মসূচি রূপায়ণের ফলে ত্রিপুরায় ইতিমধ্যে সুফল পাওয়া যাচ্ছে। তাছাড়া ধান ও ভুট্টা উৎপাদনে একর ভিত্তিক পরিমাণ নির্ধারণ, বিভিন্ন উদ্যানজাত ফসলের জন্য সম্ভাব্য চাষের এলাকা চিহ্নিতকরণ, আগর চাষের সম্প্রসারণের লক্ষ্যে চাষের আওতাভুক্ত এলাকা চিহ্নিতকরণ ইত্যাদি চলতি প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ত্রিপুরায় উদ্যানজাত ফসল, কৃষি, আগর ও বিপর্যয় ব্যবস্থাপনার উন্নতির ক্ষেত্রে মূল্যবান তথ্য পাওয়া যাবে। তাছাড়া সরকারি জমি বেআইনিভাবে দখল হওয়ার উপর নজরদারি রাখতে ও সতর্কতা জারি করতে সমস্ত সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলির কাজে সহায়ক ভূমিকা নেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে একটি ড্রোন নির্ভর রিমোট সেন্সিং ড্যাটা সংগ্রহ হাব স্থাপনের প্রস্তাব দেন।