আগরতলা : ঊষাবাজার ভারত রত্ন সংঘ-র সম্পাদক খুনকাণ্ডে পুলিস এক ব্যাক্তি আটক করেছে। ধৃত প্রদ্যোত ধর চৌধুরীকে পশ্চিম থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে। অভিযোগ সি পি ডব্লিউ ডির নিগো বাণিজ্য নিয়ে ঊষাবাজার এলাকায় চলছে ঝামেলা। অভিযোগ এই ঝামেলার জের ধরেই মঙ্গলবার সন্ধ্যারাতে খুন হতে হয়েছে ঊষাবাজার ভারতরত্ন সংঘ এর সম্পাদক দুর্গা প্রসন্ন দেব ওরফে ভিকিকে। জানা গেছে ভিকির এক পরিচিত যুবক সন্ধ্যায় গাড়ি পাঠিয়ে ডেকে নিয়ে যায়। পরে শালবাগান এলাকায় ভিকিকে গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। ঘটনা জানাজানি হতেই আশপাশ এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। চাপা উত্তেজনা বিরাজ করতে থাকে এয়ারপোর্ট থানাধিন ঊষাবাজার এলাকায়। ঘটনার খবর পেয়ে এয়ারপোর্ট থানার পুলিস ছুটে যায়। ঘটনাস্থলে থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় ভারত রত্ন সংঘের সম্পাদককে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।ঘটনা জানাজানি হতেই ঊষাবাজার সহ আশপাশ এলাকার লোকজন হাসপাতালে ভিড় করেন। হাসপাতালে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন দুর্গা প্রসন্ন দেবের বাড়ির লোকজন। মৃতের স্ত্রী এয়ারপোর্ট থানা এলাকায় কতিপয় যুবকদের নামধাম জানিয়ে থানায় মামলা করেন। তিনি অভিযোগ করেন ক্লাবের প্রাক্তন সম্পাদক রাজু বর্মণ সহ কয়েকজন মিলে খুন করেছেন ভিকিকে। মহিলা এয়ারপোর্ট থানা পুলিসের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ জানান।পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন পুলিস মোটা অংকের বিনিময়ে সমস্ত ঘটনা জেনেও চুপ থাকছে। কারণ আগেও পুলিসে অভিযোগ জানানো হয়েছে দুর্গা প্রসন্ন দেবকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ এনে। কিন্তু কোন পদক্ষেপ নেয়নি পুলিস। এদিকে রাতেই ঘটনাস্থলকে ছুটে যান পশ্চিম জেলার পুলিস সুপার সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। বুধবার উষা বাজার ভারতরত্ন সংঘের সম্পাদক মৃত্যুকাণ্ডে প্রদ্যোত ধর চৌধুরী নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পশ্চিম থানার নিয়ে আসে পুলিস।ঘটনায় জোর তল্লাশি জারি রেখেছে পুলিস। তবে এখন দেখার পুলিস প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তারে সক্ষম হয় কিনা?
ঊষাবাজার ভারত রত্ন সংঘ-র সম্পাদক খুনকাণ্ডে পুলিস এক ব্যাক্তি আটক করেছে
103
previous post