ডেটা সেন্টারের জন্য জমি বন্দোবস্ত করেছে সরকার: মুখ্যমন্ত্রী

আগরতলা : ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা আজ বলেছেন এআই এবং ৫জি উন্নয়নের লক্ষ্যে পরিকাঠামোর আরো বিকাশ সাধন করছে রাজ্য সরকার।

আজ নয়াদিল্লিতে ‘রাইসিং নর্থইস্ট ইনভেস্টরস সামিট ২০২৫’ এ অংশ নিয়ে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। এই ইভেন্টের শিরোনাম ছিল “আইটি ফর অষ্টলক্ষী: বেয়ন্ড দি বিটস এবং বাইটস, ইনটু এআই এন্ড ৫জি।”

ডাঃ সাহা আরও ঘোষণা করেন যে ত্রিপুরা সরকার ডেটা সেন্টারের জন্য জমি বরাদ্দ করেছে, এটি আগরতলায় অবস্থিত এবং যা ভারতের গোটা পূর্ব ও উত্তর পূর্বাঞ্চলের অঞ্চলের অন্যতম হাব হিসেবে কাজ করবে।

 

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অষ্টলক্ষী হিসেবে, এই আটটি রাজ্য – নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও অফুরন্ত সম্পদে সমৃদ্ধ রয়েছে। তারা বাস্তবিকভাবে দেবী লক্ষ্মীর প্রতিনিধিত্ব করে, যা সম্পদ, জ্ঞান, শক্তি এবং সমৃদ্ধির বহুমুখী আশীর্বাদের মূর্ত প্রতীক। আজ, আমি আমার রাজ্য ত্রিপুরা সহ উত্তর -পূর্বাঞ্চলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স) এবং ৫জি সম্পর্কে কথা বলতে পেরে সম্মানিত। আমরা আজ নর্থইস্ট ইনভেস্টর সামিটে মিলিত হতে পেরেছি। আমি এই গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট আয়োজনের জন্য উত্তর পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রককে ধন্যবাদ জানাই।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ৫জি দ্রুত এবং কম সময়ের মধ্যে তথ্য প্রেরণ করতে পারে, এআই বিস্তৃত প্রক্রিয়াগুলি স্বয়ংক্রিয় করতে দক্ষ পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে পরিচালনাগত জটিলতা হ্রাস করে – যার ফলে আরও গতি, দক্ষতা এবং ব্যয় সাশ্রয়ে সহায়ক হয়।

 

ডাঃ সাহা বলেন, এটি ৫জি এবং এআই এর মধ্যে একটি প্রতীকী সম্পর্কযুক্ত। এআই প্রসারিত হওয়ার সাথে সাথে সংযোগের ব্যয় হ্রাস অব্যাহত রাখে। ৫জি এবং এআই এর রূপান্তর শুধু গতি নয় – এটি পরবর্তী প্রজন্মের কার্যকলাপের নানা চাহিদা পূরণ করতে চলেছে। ৫জি এবং এআই এর শক্তিশালী সংমিশ্রণের ফলে বৃহত্তর উদ্ভাবনের সুযোগ এবং কিছু আকর্ষণীয় সুযোগ তৈরি হবে। ৫জি এর সঙ্গে এআই অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে বিভিন্ন শিল্প এবং ক্ষেত্রগুলিতে সুযোগ নিয়ে আসবে। এআই এবং ৫জি এর সুযোগ উপলব্ধের মাধ্যমে বিকাশ, উদ্ভাবন এবং সমৃদ্ধির জন্য নতুন দিক নিয়ে আসতে পারে।

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ত্রিপুরা ৫জি পরিষেবা গ্রহণের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে, সমস্ত শহর এবং ৫৮৩টি গ্রাম ইতিমধ্যে এই ক্ষেত্রে সংযুক্ত হয়েছে। টেলিযোগাযোগকে উন্নত করার জন্য পলিসি তৈরি করেছে ত্রিপুরা। ইনফরমেশন টেকনোলজি পলিসি ২০২২ এবং ডেটা সেন্টার পলিসি ২০২১ সহ টেলিকম পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য পলিসি তৈরি করেছে রাজ্য। ত্রিপুরা সরকার ডেটা সেন্টারগুলির জন্য জমি বরাদ্দ করেছে। এটি আগরতলায় অবস্থিত, যা দেশের গোটা পূর্ব ও উত্তর পূর্বাঞ্চলে পরিষেবা দেবে।

 

মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা জানান, সম্প্রতি ত্রিপুরা সরকার, ন্যাশনাল ই-গভর্নেন্স ডিভিশন এবং ভারত সরকারের ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের সহযোগিতায় স্বচ্ছতা, দক্ষতার সঙ্গে সুশাসন পরিচালনার লক্ষ্যে এআই- এর উপর একটি কর্মশালার আয়োজন করেছে। এই কর্মশালা প্রশাসনে এআইয়ের বিভিন্ন সম্ভাবনা তুলে ধরেছে।

 

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরা রাজ্য বর্তমানে পেপারলেস (কাগজবিহীন) প্রশাসন বাস্তবায়ন করেছে। এতে ফাইলগুলির প্রক্রিয়া ৯ দিন থেকে কমে ৩ দিনে করা সম্ভব হয়েছে। এতে প্রয়োজনীয় সময় হ্রাস করা সম্ভব হয়েছে এবং প্রতি বছর ৫০ কোটি টাকা সাশ্রয় করা যাচ্ছে। এই ডিজিটাল রূপান্তর আমাদের প্রশাসনে স্বচ্ছতা, দক্ষতা এবং জবাবদিহিতা বৃদ্ধি করেছে। সামনের দিশায় এগিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি আমরা ডিজিটাল ইন্টারফেসের মাধ্যমে জন পরিষেবা সহজ করার জন্য সিঙ্গেল-উইন্ডো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম চালু এবং দপ্তর-নির্দিষ্ট এআই পাইলট প্রজেক্ট চালু করা সহ সমস্ত উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে প্রবৃদ্ধি, উদ্ভাবন ও সমৃদ্ধি ঘটানোর লক্ষ্যে এআই এবং ৫জি সম্প্রসারনের লক্ষ্য নিয়েছি।

Related posts

চোর চক্রের দুই সদস্য এন সি সি থানার পুলিসের জালে, উদ্ধার ৩ বাইক

রাজধানীর নজরুল কলাক্ষেত্র প্রাঙ্গণে হবে কাজী নজরুলের জন্মদিনে কবি প্রণাম অনুষ্ঠান

ত্রিপুরা অলিম্পিক এসোসিয়েশনের নতুন কমিটির বৈঠকে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত