আগরতলা : রাজ্যে জাতীয় সড়কের কয়েকটি অংশের মেরামতের কাজ শীঘ্রই শুরু করা হবে। জাতীয় সড়কের ভগ্নপ্রায় অংশ সংস্কারের মাধ্যমে রাস্তা ঠিকঠাক করার জন্য কেন্দ্রের একটি প্রতিনিধি দল ইতিমধ্যে পরিদর্শন করেছে। এর পাশাপাশি আগরতলা শহরে থাকা কালাপানি খালটি যথাযোগ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুরোপুরি কংক্রিটের করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং সেই লক্ষ্যে কাজও চলছে।
আজ রাজধানী আগরতলা শহর এলাকায় বিভিন্ন পরিকাঠামো উন্নয়ন সংক্রান্ত কাজকর্ম সরেজমিনে পরিদর্শন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। এদিন মুখ্যমন্ত্রী সিটি সেন্টার, গাঙ্গাইল রোড, মেলারমাঠ, জয়নগর পুকুর, দশমীঘাট রাস্তা সহ বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখেন। মূলত, সাধারণ মানুষ কোনও সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন কিনা সেটা প্রত্যক্ষ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর এই পরিদর্শন।
সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, দু’মাস আগে, আমি ৮ টাউন বড়দোয়ালি পরিদর্শন করেছি, যেটা শহরের মূল কেন্দ্র এবং আমার বিধানসভা কেন্দ্রের অধীনে রয়েছে। অফিসিয়াল এবং জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে আমি অনেক বুথ ও ওয়ার্ড এলাকা পরিদর্শন করেছি। এই পরিদর্শন নিয়ে আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার আমাকে একশন টেকেন রিপোর্ট দিয়েছেন, যেখানে বিভিন্ন বিষয় উঠে এসেছে। আজও আমি বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করতে এসেছি যেগুলি আগে বাকি ছিল। সাধারণ মানুষের নিত্য সমস্যা যেমন রাস্তা, ড্রেন এবং অন্যান্য সমস্যা সমাধানে জোর দেওয়া হয়েছে। তাই এধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য সরেজমিনে পরিদর্শন একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যেটা অফিসের ভেতর বসে সমাধান সম্ভব নয়। কি করতে হবে এবং কি না করতে হবে সেজন্য নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কালাপানি খালটি সম্পূর্ণ কংক্রিট ড্রেন হবে এবং পুকুরগুলিও সংস্কার করা হয়েছে। আমি আধিকারিকদের বলেছি যে আমরা কীভাবে আরও ভাল করতে পারি সেটা দেখতে হবে। এজন্য মনিটরিং করা প্রয়োজন। আমরা এখন শহর জুড়ে ড্রেন নির্মাণ করছি। শহরজুড়ে উন্নয়নের কাজকর্ম অব্যাহত রয়েছে। জানুয়ারি থেকে প্রায় 700 কোটি টাকার উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন তিনি। ডাঃ সাহা আরও জানান, রাজ্য সরকার এডিসির আরও উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভঙ্গুর মাটি, কখনও কখনও মাটি ভেঙে যাওয়ার কারণে রাস্তার অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। আমি দিল্লির সাথে কথা বলেছি এবং সমস্যা সমাধানের জন্য একটি টিম এসে পৌঁছেছে। আমি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করির সাথেও কথা বলেছি এবং তিনি একটি টিম পাঠিয়েছেন। শীঘ্রই সমস্যা সমাধান করার জন্য কাজ করা হবে।
পরিদর্শন কালে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার, পূর্ত দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক ড. বিশাল কুমার সহ অন্যান্য পদস্থ আধিকারিকগণ।