আগরতলা : কর্পোরেট স্বার্থবাহী সরকারের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে বিকল্প সরকার গড়তে এদের উৎখাত করার শ্লোগান উঠেছে,এতে সমস্ত স্তরের মানুষকে সামিল হতে আহ্বান জানালেন সিপিআইএম পলিটব্যুরোর সদস্য মানিক সরকার।বৃহস্পতিবার ওরিয়েন্ট চৌমুহনিতে কেরালা রাজ্য সরকারের ওপর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক আক্রমণের বিরুদ্ধে দলের দেশব্যাপী কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে এই গণঅবস্থানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন মোদি সরকার সমস্ত কিছু কুক্ষিগত করতে চায়।এরা একদলীয় শাসন কায়েম করতে চাইছে,ভারতের মানুষ এটা চাইছে না। এটা বুঝতে পেরে দল না বললেও নরেন্দ্র মোদী নিজেই সংসদে ঘোষণা করে দিয়েছেন তিনি তৃতীয় বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন।কোনো প্রধানমন্ত্রীকে এমন কথা বলতে এর আগে শুনিনি বলে মানিক সরকার মন্তব্য করেন।দেশের বর্তমান অর্থমন্ত্রীর সাম্প্রতিক অন্তর্বর্তী বাজেট বক্তৃতার উল্লেখ করে তিনি বলেন উনি ২০৪৭ সালের স্বপ্ন দেখিয়েছেন কিন্তু মাঝের সময়ে কি হবে?এই প্রশ্ন তুলে ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন ‘কি হবে বেকারদের? কি হবে সাধারণ মানুষের? ওরা কি রাস্তায় থাকবে? এ হতে পারে না’ । কৃষকদের প্রতি অন্যায় আচরণ ও বিশ্বাসঘাতকতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন আগামী ১৬ তারিখ গ্রামীন ভারত বনধ হবে। সাথে শিল্প ও পরিষেবা। বনধ হবে ত্রিপুরাতেও হবে,গণতান্ত্রিক লড়াই শুরু হয়ে গেছে ।তিনি বলেন কেরালা শিক্ষা, শিল্প, স্বাস্থ্য ও কর্ম সংস্থানে বিকল্প পথ দেখাচ্ছে বলেই মোদি সরকার রাজ্যের ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করেছে লাখ লাখ কোটি টাকা না দিয়ে।সমস্ত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও যুক্তরাষ্ট্রিও কাঠামোয় যে আক্রমণ হানা হয়েছে তাকে প্রতিরোধ করে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিকল্প সরকার গঠনের ডাক দিলেন সিপিআইএম ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরীও।তাঁর বক্তৃতায় তিনি কেরালা রাজ্য সরকারের ওপর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক আক্রমণের তীব্র আক্রমণ হেনে বলেন বিজয়ন সরকার দ্বিতীয় বার গঠিত হবার পর নানাভাবে সমস্যা তৈরি করে চলেছে মোদি সরকার।সভায় উপস্থিত ছিলেন বামফ্রন্টের আহ্বায়ক নারায়ণ কর, মানিক দে, রমা দাস সহ অন্যরা।
গণবিক্ষোভ- ধর্নায় কেন্দ্রের সমালোচনায় মানিক সরকার
132
previous post