পশ্চিমবাংলা : পশ্চিমবাংলায় শান্তি নেই। এখানে শুধু অশান্তি বিরাজ করছে। মানুষ চায় শান্তির পরিবেশে বসবাস করতে। তাই মানুষ শান্তির জন্য অপেক্ষা করছে কখন ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থীকে ভোট দেবেন। এই লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবাংলায় ৩২টি আসনের টার্গেট পূরণ করবে ভারতীয় জনতা পার্টি। তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার এখানে কুশাসন ও দুঃশাসন চালাচ্ছে। তাই মানুষ চাইছেন কিভাবে তাদের থেকে দূরে সরে আসবেন। মানুষ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ভারতীয় জনতা পার্টিকে বিশ্বাস করেন।
বুধবার পশ্চিমবঙ্গের যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থী তথা শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ডঃ অনির্বাণ গাঙ্গুলির সমর্থনে আয়োজিত রোড শোয়ে অংশগ্রহণ করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।
সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়ে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, পশ্চিমবাংলার মানুষ অপেক্ষা করছেন আগামী ৪ তারিখের, কবে রেজাল্ট হবে এই আশায়। বাংলায় ৩২টি আসনের টার্গেটে আমরা পৌঁছে যাবো। এখানে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার কুশাসন আর দুঃশাসন চালাচ্ছে। তারা দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত রয়েছে। মানুষ চাইছে এই অপশাসন থেকে বেরিয়ে আসতে। আর এটা লোকসভা নির্বাচন। আগামীতে পশ্চিমবঙ্গ কোন দিশায় এগিয়ে যাবে এই নির্বাচন থেকেই সেটা পরিষ্কার হয়ে যাবে।
এদিন নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে ফের একবার ত্রিপুরার রাজনীতির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। বিশেষ করে বাম জমানার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘ বছর ত্রিপুরা শাসনে এরা খুন, সন্ত্রাস, অগ্নিসংযোগ চালিয়ে গেছে। এভাবেই পশ্চিমবঙ্গেও তৃণমূল কংগ্রেস এই কাজ করে যাচ্ছে। ত্রিপুরায় বামফ্রন্টকে উৎখাত করা সম্ভব হয়েছে একমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কারণে। ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে ত্রিপুরায় বামেদের হটিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টি ক্ষমতায় এসেছে। আর ২০২৩ সালেও নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টি ত্রিপুরায় জয়যুক্ত হয়েছে। এবারও লোকসভা নির্বাচনে ত্রিপুরার দুটি আসনে শান্তিপূর্নভাবে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। কারণ মানুষ শান্তি চায়।
এই রোড শোয়ে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও পশ্চিমবাংলার ভারতীয় জনতা পার্টির শীর্ষ নেতৃত্ব যোগদান করেন।
এদিন নির্বাচনী প্রচারে জনতার উদ্দেশ্যে সম্বোধন করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ভারতীয় জনতা পার্টির উপর মানুষের আস্থা রয়েছে। আমরা সরকার গঠন করার জন্য ৪০০ টিরও অধিক আসনে জয়ী হবো। ত্রিপুরায় আমরা প্রত্যক্ষ করেছি সিপিএম কীভাবে রাজ্য শাসন করেছে। আর এখন সিপিএম এবং কংগ্রেস একত্রিত হয়ে একটি অশুভ জোট গঠন করেছে।
ডাঃ সাহা বলেন, আমাদের অভিভাবক হিসেবে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার মতো ব্যক্তিত্ব। আমরা যদি ত্রিপুরা থেকে তাঁদের নেতৃত্বে সিপিএমকে হটিয়ে দিতে পারি তবে আমি নিশ্চিত যে পশ্চিমবঙ্গেও এর পুনরাবৃত্তি হবে। ত্রিপুরার মানুষ পারলে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ কেন পারবেন না? পশ্চিমবঙ্গের মানুষের উদ্দেশ্যে এই প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী।