Home First post ত্রিপুরা ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে বড়কাঠালে সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরের উদ্বোধন

ত্রিপুরা ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে বড়কাঠালে সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরের উদ্বোধন

ত্রিপুরায় নাস্তিকতা মনোভাবের দরুণ পূর্ববর্তী সরকারের সমালোচনা মুখ্যমন্ত্রীর

by sokalsandhya
0 comments

আগরতলা : রাজ্যে একটা সময় নাস্তিকতার পরিবেশ কায়েম করে রেখেছিল পূর্ববর্তী সরকার। ভারতীয় জনতা পার্টি নেতৃত্বাধীন সরকার রাজ্যে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর রাজ্যের মানুষ বিশ্বাস এবং আধ্যাত্মিকতার দিশায় এগিয়ে চলছে।

সোমবার পশ্চিম জেলার মোহনপুর মহকুমার অধীন বড়কাঠালে সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরের উদ্বোধন এবং বেদ বিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। এই মহতি ও স্মরণীয় অনুষ্ঠানের সাক্ষী হয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং স্বামী চিত্তরঞ্জন মহারাজ সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বগণ।

অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, আমি এখানে আসার জন্য উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে ধন্যবাদ জানাই। গুরুদেব শ্রী শ্রী শান্তিকালীর আশীর্বাদ এবং স্বামী চিত্তরঞ্জন মহারাজের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এই মন্দিরের উদ্বোধন সম্ভব হয়েছে। বিগত সরকারের আমলে প্রায় ৩৫ বছর ধরে রাজ্যে নাস্তিকতার পরিবেশ গড়ে তোলা হয়েছিল, যা ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মানুষের মধ্যে ধর্মীয় বিশ্বাস ও আধ্যাত্মিকতার ভাবাদর্শ জাগ্রত করতে সচেষ্ট হয়েছেন। এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। আমাদের রাজ্য সরকারও সেই দিশায় কাজ করছে। আজ যে সুন্দর মন্দিরটি উদ্বোধন করা হয়েছে এটা তারই বাস্তবিক প্রমাণ।

মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ত্রিপুরা রাজ্য পর্যটন ক্ষেত্রের দিকে খুবই সমৃদ্ধ। বিভিন্ন জায়গা থেকে পর্যটকগণ রাজ্যের পর্যটন কেন্দ্রগুলি ঘুরে দেখতে আসেন। এই রাজ্যের সমৃদ্ধ পর্যটন ক্ষেত্র মানুষকে আকর্ষিত করে। এখন মানুষ ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দির কিংবা কসবা কালী বাড়ী মন্দির দেখতে আসেন। আগামীদিনে সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরও পর্যটকদের আকর্ষণে পরিণত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

ডাঃ সাহা বলেন, রাজ্যে একটা সময় অস্থিরতার পরিস্থিতি বিরাজমান ছিল। আমরা প্রত্যক্ষ করেছি কীভাবে এখানে পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এতে পিছিয়ে গিয়েছে একটা প্রজন্ম। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে রাজ্যে ভারতীয় জনতা পার্টি নেতৃত্বাধীন সরকার গঠনের পর স্থিতিশীলতা ফিরে আসে। কারণ ঈশ্বরে বিশ্বাস ছাড়া কিছুই সম্ভব নয়। ঈশ্বরের প্রতি আমাদের বিশ্বাস ও আস্থা বজায় রাখতে হবে। আমি স্বামী চিত্তরঞ্জন মহারাজের সমাজের প্রতি কাজ ও দায়বদ্ধতার জন্য গর্ব অনুভব করি। তিনি বিভিন্ন স্কুল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন। বর্তমানে প্রায় ২৪টি আশ্রমে প্রায় ১,৫০০ এর অধিক শিক্ষার্থী পড়াশুনা করছে।

এদিন অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির প্রদেশ সভাপতি ও সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য, তিপ্রা মথা দলের প্রতিষ্ঠাতা ও এডিসি সদস্য প্রদ্যোত কিশোর মাণিক্য দেববর্মা সহ অন্যান্য নেতৃত্ব ও প্রশাসনিক আধিকারিকগণ।

You may also like

Leave a Comment

Are you sure want to unlock this post?
Unlock left : 0
Are you sure want to cancel subscription?
-
00:00
00:00
Update Required Flash plugin
-
00:00
00:00

SOKAL SANDHYA is the Best Newspaper and Magazine 

Edtior's Picks

Latest Articles